যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর কার্যকারিতা বাড়াতে বিস্ফোরক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কাশ প্যাটেল। তিনি একইসঙ্গে অ্যালকোহল, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য বিষয়ক ব্যুরো-এরও (এ টি এফ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্যাটেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ টি এফ-এর প্রায় ১,০০০ জন কর্মীকে এফবিআই-এ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে এ টি এফ-এর কর্মীর সংখ্যা এক তৃতীয়াংশেরও বেশি কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে এ টি এফ-এর প্রায় ২,৬০০ জন এজেন্ট এবং ৫,০০০ এর বেশি কর্মচারী রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
জানা গেছে, প্রথমে কয়েকশ এ টি এফ এজেন্টকে সীমান্ত-সংক্রান্ত অপরাধ দমনে এফবিআই এজেন্ট হিসেবে পুনর্বহাল করা হবে। পরবর্তীতে, প্রায় ১,০০০ জন এ টি এফ এজেন্টকে এফবিআই-এর অধীনে সাময়িকভাবে কাজ করার জন্য পাঠানো হতে পারে।
তবে, এই পুনর্বহালের সময়সীমা এখনো নির্ধারিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুযায়ী নাগরিকদের অস্ত্র বহনের অধিকার রয়েছে।
এই অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে অনেক সংগঠন মনে করে, এ টি এফ-এর কার্যক্রম এই অধিকারের পরিপন্থী। এমন পরিস্থিতিতে, এ টি এফ-এর কর্মী সংখ্যা কমানোর এই পরিকল্পনাকে তাই বিশেষভাবে দেখা হচ্ছে।
আগেও, বিভিন্ন সময়ে এ টি এফ-কে এফবিআই অথবা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে একত্র করার প্রস্তাব উঠেছিল। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও একবার বন্দুক হামলা ও অস্ত্রের অপব্যবহার বিষয়ক একটি টাস্কফোর্সের আলোচনায় এমন প্রস্তাব তুলেছিলেন।
এই পদক্ষেপের ফলে এফবিআই-এর কর্মপরিধি আরও বিস্তৃত হবে। বর্তমানে এফবিআই-এর প্রায় ১৪,০০০ এজেন্ট এবং ৩৮,০০০ কর্মচারী রয়েছেন।
কাশ প্যাটেলকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এফবিআই-এর সংস্কারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। বর্তমানে, এই বিষয়ে এফবিআই বা বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন কিভাবে হয়, সেদিকেই এখন সকলের দৃষ্টি। তথ্য সূত্র: সিএনএন