আতঙ্কে তুরস্ক! মেয়র ইমামোগলুর ‘সন্ত্রাস’ অভিযোগ, যা বললেন তিনি!

তুরস্কে বিরোধী দলের প্রভাবশালী নেতা, ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোগলুকে সম্প্রতি ‘সন্ত্রাসবাদ’ এবং দুর্নীতির অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

এই ঘটনার জেরে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, যা ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ। আটক হওয়ার পর ইমামোগলু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, এই আটকের ঘটনাটি ঘটেছে এমন এক সময়ে, যখন ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) থেকে তাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার কথা ছিল।

মেয়র ইমামোগলুর আটকের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) শক্ত ঘাঁটিতেও প্রতিবাদের খবর পাওয়া গেছে।

তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য এই আটকের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করা হয়েছে। দেশটির বিচারমন্ত্রী বলেছেন, বিচার বিভাগের এই ধরনের পদক্ষেপের সঙ্গে সরকারের কোনো যোগসূত্র নেই।

তবে, বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ইমামোগলুর আটকের পর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বর্তমানে তুরস্কে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে এবং বিরোধী মতকে দমন করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।

এদিকে, তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি তাদের সমর্থকদের প্রতি ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে।

তারা এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার একটি প্রতীকী ভোটাভুটি আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে ইমামোগলুকে দলের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

ইস্তাম্বুলের মেয়রের এই আটকের ঘটনা তুরস্কের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

বিরোধী দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে, যা আগামী দিনে দেশটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *