ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদক্ষেপে ফুঁসছে তেল আবিব। দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের প্রধানের অপসারণ এবং গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরুর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন।
বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দেখছেন এবং এর মাধ্যমে ইসরায়েলের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিত্তি দুর্বল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন।
শনিবার (তারিখ উল্লেখ করা হয়নি) তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারে সমবেত হয়ে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের পতাকা হাতে ধরেন এবং গাজায় বন্দী থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হন। বিক্ষোভকারীদের অনেকে মনে করেন, নেতানিয়াহু সরকার যুদ্ধ বন্ধ করে বন্দীদের উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
জানা গেছে, নেতানিয়াহু সম্প্রতি শিন বেটের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বারকে ২০২৩ সাল থেকে এই পদে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নেতানিয়াহু ক্ষমতা ধরে রাখতে এবং নিজের দুর্নীতি ঢাকার জন্য এমনটা করছেন।
এদিকে, ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট বারকে অপসারণের উপর সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিড নেতানিয়াহুকে আদালতের রায় মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যদি সরকার আদালতের সিদ্ধান্ত অমান্য করে, তবে দেশজুড়ে ধর্মঘট ডাকা হবে।
শুধু শিন বেট প্রধানের অপসারণ নয়, অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ-মিয়ারার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনারও তীব্র সমালোচনা চলছে। বিক্ষোভকারীরা মনে করেন, নেতানিয়াহু সমালোচকদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন এবং এর মাধ্যমে দেশে স্বৈরাচারী শাসনের সূচনা হতে পারে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ায় সেখানকার পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলিদের ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন, যাতে বন্দীদের জীবনহানি না হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহুর এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলো ইসরায়েলের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা