গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় গভীর শোকের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার ভোরের হামলায় অন্তত ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর শীর্ষস্থানীয় নেতা সালাহ বারদাওয়েল।
খান ইউনিসে চালানো হামলায় বারদাওয়েল ও তার স্ত্রীও নিহত হন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। খান ইউনিসে একটি বাড়িতে হামলায় নিহত হয়েছেন এক পরিবারের পাঁচ শিশু ও তাদের বাবা-মা।
এছাড়াও, দক্ষিণাঞ্চলে পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন আরও এক পরিবারের চার জন, যাদের মধ্যে দুটি মেয়েও রয়েছে।
এদিকে, গাজার ওপর ইসরায়েলের এই আক্রমণের মধ্যেই ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরাও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করা হয়েছে এবং এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জানুয়ারি মাসে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা নতুন করে শুরু হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই ছিল বেসামরিক নাগরিক। ওই হামলায় প্রায় ২৫১ জন জিম্মি হয়, যাদের মধ্যে এখনও ৫৯ জন বন্দী রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪৯,৭৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল অবশ্য দাবি করেছে, তারা প্রায় ২০,০০০ জঙ্গি নিধন করেছে, তবে এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সেখানকার ২০ লক্ষাধিক মানুষ খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের মতো জরুরি সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস