মার্চ ম্যাডনেসে ক্যালিপারি’র জয়, পিটিনোকে হারিয়ে ‘সুইট ১৬’-এ আরকানসাস!

আর্কানসাস র‍্যাযরব্যাকস-এর জয়, ক্যালিপারি’র নেতৃত্বে ‘সুইট সিক্সটিন’-এ প্রবেশ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ বাস্কেটবল-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট, মার্চ ম্যাডনেস (March Madness)-এ আলো ছড়াচ্ছে জন ক্যালিপারি’র প্রশিক্ষণাধীন আর্কানসাস র‍্যাযরব্যাকস। শনিবারের খেলায় তারা ৭২-৬৬ পয়েন্টে হারিয়েছে সেন্ট জন’স-কে, যার ফলে র‍্যাযরব্যাকস-এর দল শেষ ষোলো’তে (Sweet Sixteen) জায়গা করে নিয়েছে।

এই জয় ক্যালিপারির কোচিং ক্যারিয়ারে একটি বিশেষ মাইলফলক, কেননা এর মাধ্যমে তিনি ১৬ বার ‘সুইট সিক্সটিন’-এ পৌঁছালেন, তাও আবার চারটি ভিন্ন দলের হয়ে।

সেন্ট জনস-এর কোচ রিক পিটিনো এবং ক্যালিপারির মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। বাস্কেটবলের এই দুই কিংবদন্তি কোচের লড়াই বেশ উপভোগ্য, এবং মাঠের খেলায়ও তার প্রভাব দেখা যায়।

ক্যালিপারি একসময় কেন্টাকি’র কোচ ছিলেন, যেখানে পিটিনোও কোচিং করিয়েছেন। যদিও তারা একে অপরের প্রতি কোনো বিদ্বেষ পোষণ করেন না, তবে বন্ধুত্বের সম্পর্কও তাদের মধ্যে নেই।

খেলার আগে তারা সৌজন্য বিনিময় করেন, তবে মাঠের লড়াই ছিল তীব্র।

রিক তার দলের জন্য দারুণ কাজ করেছেন। তারা যদি কয়েকটি শট নিতে পারত, তাহলে হয়তো তারাই জিতত। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।

ক্যালিপারি

পিটিনোও আর্কানসাসের জয়কে স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “তারা আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। তারাই এগিয়ে যাওয়ার যোগ্য, আমরা নই।

মার্চ ম্যাডনেস এমনই হয়। সারা বছর ভালো খেললেও, এই ধরনের খেলায় হারতে হতে পারে।”

পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়, ক্যালিপারি এবং পিটিনোর মধ্যেকার লড়াইয়ে ক্যালিপারি এগিয়ে আছেন। এই পর্যন্ত ক্যালিপারি পিটিনোর বিরুদ্ধে ১৭টি ম্যাচ জিতেছেন, যেখানে পিটিনো জয় পেয়েছেন ১৩টিতে।

এনবিএ-তে তাদের মধ্যেকার ৬টি ম্যাচও এর অন্তর্ভুক্ত।

আর্কানসাসের এই সাফল্যের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল দলের খেলোয়াড়দের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। দলের তরুণ খেলোয়াড় বিলি রিচমন্ড তৃতীয় ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

অন্যদিকে, সেন্ট জনস-এর পারফরম্যান্স কিছুটা হতাশাজনক ছিল। তারা ২২টি থ্রি-পয়েন্ট শটের মধ্যে মাত্র ২টি-তে সফল হয়, যা তাদের হারের অন্যতম কারণ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস্কেটবল খেলার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। মার্চ ম্যাডনেস টুর্নামেন্টটি সেই দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচই যেন উত্তেজনাপূর্ণ এক মহারণ, যেখানে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় নিপুণ কৌশল এবং খেলোয়াড়দের দৃঢ় মনোবলের মাধ্যমে।

আর্কানসাস র‍্যাযরব্যাকস-এর এই জয় তাদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এখন তারা ‘সুইট সিক্সটিন’-এ তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার জন্য প্রস্তুত।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *