গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান তীব্র, বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান জোরদার হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক শীর্ষস্থানীয় নেতাকে লক্ষ্য করে চালানো হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন।
এর পাশাপাশি, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯,৭৪৭ জনে।
রবিবার (আজ) সকালে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) রাফাহ’র তেল সুলতান এলাকা থেকে বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যেতে সতর্ক করে। এরপর ওই এলাকায় অভিযান শুরু হয়।
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানায়, “সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানো হয়েছে… আপনারা যে এলাকায় আছেন, সেটি একটি বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।” বেসামরিক নাগরিকদের উত্তরে মাওয়াসি অঞ্চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, রাফাহ’তে ইসরায়েলি হামলায় আহতদের সাহায্য করতে যাওয়া তাদের চারটি অ্যাম্বুলেন্সকে ঘিরে ধরা হয়েছে। এছাড়া, রাফাহ’র পশ্চিমে একটি উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, যারা একটি অ্যাম্বুলেন্স ক্রুকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিল।
অন্যদিকে, হামাস-সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম জানিয়েছে, খান ইউনিসে একটি পৌর কর্তৃপক্ষের গাড়িতে আঘাত হানায় তিনজন নিহত হয়েছে।
এর আগে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় বিমান ও স্থল অভিযান পুনরায় শুরু করে। তারা জানায়, হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত পরিবর্তনে রাজি না হওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অভিযান শুরুর আগে, ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে বাধা দেয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, হামাসকে নতুন শর্ত মেনে নিতে এবং জিম্মিদের মুক্তি দিতে বাধ্য করা।
শনিবার (গতকাল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি অভিযানে ১৩০ জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং গত ৪৮ ঘণ্টায় ২৬৩ জন আহত হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ইসরায়েল পুনরায় হামলা শুরু করার পর থেকে ৬৩৪ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে, গাজার উত্তরাঞ্চলেও আইডিএফ তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তারা জানিয়েছে, শনিবার বেইত হানুন এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে, যার উদ্দেশ্য হলো “গাজার উত্তরে নিরাপত্তা অঞ্চল প্রসারিত করতে হামাসের সন্ত্রাসী অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা।”
এছাড়া, তারা আরও জানায়, যুদ্ধবিমানগুলো হামাসের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন