যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে এক নারীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে হন্ডুরাস থেকে আসা এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যিনি অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করেছিলেন। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, নিহত নারীর নাম ক্যামিলিয়া উইলিয়ামস, যিনি পাঁচ সন্তানের মা ছিলেন।
অভিযুক্ত ২১ বছর বয়সী হেক্টর সাগাসতুম রিভাস প্রায় চার বছর আগে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অতিক্রম করেন। ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর তথ্য অনুযায়ী, তাকে প্রথমে আটক করা হলেও ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তার দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মার্চ মাসের ১১ অথবা ১২ তারিখে মারিয়েটা শহরে ক্যামিলিয়া উইলিয়ামসকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে রিভাসের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুযায়ী, অভিযুক্ত প্রথমে উইলিয়ামসকে শ্বাসরোধ করেন এবং পরে তার শরীরের পুরো ভার দিয়ে তার ঘাড়ের উপর হাঁটু গেড়ে বসেন।
১৩ই মার্চ একটি জঙ্গলের ঝোপের ভেতর থেকে ৫২ বছর বয়সী উইলিয়ামসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পাঁচ দিন পর রিভাসকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বর্তমানে তিনি জামিনবিহীন অবস্থায় আটক রয়েছেন।
নিহত ক্যামিলিয়া উইলিয়ামস লুইসিয়ানা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন এবং তার পাঁচ সন্তান ও নাতি-নাতনি রয়েছে। সিএনএন-এর সহযোগী একটি মিডিয়া জানায়, ঘটনার কয়েক দিন আগে ক্যামিলিয়া তার এক পরিচিত ব্যক্তির দ্বারা অনুসরণ হওয়ার কথা পরিবারের কাছে জানিয়েছিলেন। তার ভাই আর্সেন উইলিয়ামস জানান, ক্যামিলিয়া ওই ব্যক্তিকে “অস্বাভাবিক” বলতেন।
জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান কেম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যারা আমাদের মানুষের উপর সহিংসতা ঘটায়, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। আর যদি তারা অবৈধভাবে এখানে থাকে, তাহলে আমরা ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করব এবং তাদের রাজ্য ও দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে।”
আইসিই-ও একই ধরনের বিবৃতি দিয়ে জানায়, “যেসব অপরাধী জনসাধারণের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে, তাদের মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করতে দেওয়া উচিত নয়। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে তাদের গ্রেপ্তার ও বিতাড়িত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
কর্ন কাউন্টি জেলে রিভাসকে আটকের জন্য একটি ইমিগ্রেশন ডিটেইনার জারি করেছে আইসিই, যাতে তিনি বিতাড়ন প্রক্রিয়া পর্যন্ত হেফাজতে থাকেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন