কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি আগামী ২৮শে এপ্রিল আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যেই এই নির্বাচনের ডাক দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্লেষকদের মতে দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি এবং কানাডার সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকির প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কার্নি মনে করছেন, দ্রুত নির্বাচন হলে তার দল লিবারেল পার্টি সুবিধা পাবে। জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর থেকে দলটির জন সমর্থন বাড়ছে, যা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কানাডার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং বাণিজ্য নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগের কারণে ভোটাররা এখন এমন একজন নেতাকে চাইছে যিনি এই সংকট মোকাবিলা করতে পারবেন। কার্নি সেই ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, কার্নি অন্যান্য দলের নেতাদের তুলনায় বেশি জনপ্রিয়।
নির্বাচনে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পয়েলিভরের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পের নীতির কারণে তিনি কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায় আছেন। তবে তিনি লিবারেল সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন এবং দেশের স্বার্থ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ কমন্সে মোট ৩৪3 টি আসন রয়েছে। নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করবে কোন দল সরকার গঠন করবে এবং কে হবেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে লিবারেল পার্টি ও কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নির্বাচনের ফলাফল কানাডার ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্ক এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক নীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা