বদলের সুর! প্রধান নির্বাহীর অপসারণের দাবিতে সরব ক্লাবগুলি

ইংল্যান্ডের রাগবি ইউনিয়ন (আরএফইউ)-এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে সরব হয়েছেন দেশটির ক্লাবগুলো। আগামী বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ সাধারণ সভায় (এসজিএম) আরএফইউ-এর প্রধান নির্বাহী বিল সুইনির বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট চেয়েছেন তারা।

ক্লাবগুলোর অভিযোগ, সুইনির নেতৃত্বাধীন আরএফইউ পরিচালনায় গুরুতর ব্যর্থতা রয়েছে।

এই ঘটনার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে মূলত আর্থিক অব্যবস্থাপনা এবং মাঠ পর্যায়ের ক্লাবগুলোর দুরবস্থার কারণে। ক্লাবগুলোর নেতারা মনে করেন, আরএফইউ-এর বর্তমান নীতি তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

অনেক ক্লাবের খেলোয়াড়ের সংখ্যা কমে গেছে, সেই সাথে আর্থিক সহায়তাও হ্রাস পেয়েছে। এমনকি, প্রিমিয়ারশিপের তিনটি ক্লাব বর্তমানে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।

খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণেও দেখা দিয়েছে ভাটা। এমন পরিস্থিতিতে, ক্লাবগুলো চাইছে নেতৃত্ব পরিবর্তন এবং প্রশাসনের সংস্কার।

নটিংহ্যাম রাগবি ক্লাবের চেয়ার ও হোল গেম ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অ্যালিস্টার বো এক খোলা চিঠিতে এই পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। তিনি ক্লাবগুলোর প্রতি সুইনির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বো’র মতে, আরএফইউ-এর বর্তমান কাঠামো পরিবর্তনের এখনই উপযুক্ত সময়। তিনি আরও জানান, খুব শীঘ্রই আরএফইউ বোর্ডের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে।

বো তার চিঠিতে সম্প্রতি প্রিমিয়ারশিপের তিনটি ক্লাবের দেউলিয়া হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। সেইসাথে, খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ কমে যাওয়া, তহবিলের অভাব এবং চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের বিলুপ্তি-প্রায় অবস্থার কথাও তুলে ধরেছেন।

এছাড়াও, সুইনির বেতন ও বোনাস নিয়ে বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে আরএফইউ প্রায় ৩৮ মিলিয়ন পাউন্ড (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৩০ কোটি টাকার সমান) পরিচালন ক্ষতি দেখিয়েছে এবং ৪২ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে।

ক্ষুব্ধ ক্লাবগুলোর অভিযোগ, বর্তমান নির্বাহী পরিষদ কার্যত ‘অস্পৃশ্য’ হয়ে উঠেছে এবং কমিউনিটি রাগবি কোনো প্রকার সমর্থন পাচ্ছে না।

এই পরিস্থিতিতে, ক্লাবগুলো চাইছে আরএফইউ-এর গভর্ন্যান্সের (শাসন ব্যবস্থা) সংস্কার। তারা মনে করে, বৃহস্পতিবারের এসজিএম-এর মাধ্যমে পরিবর্তনের সূচনা হবে এবং এরপর বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে।

এরপর বার্ষিক সাধারণ সভায় কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

অন্যদিকে, আরএফইউ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *