বিদেশিদের ধরতে এবার কি আইআরএসের দ্বারস্থ হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের শনাক্ত করতে দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা (আইআরএস) এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ডিএইচএস) মধ্যে একটি চুক্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই চুক্তির ফলে, অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসীদের তালিকা আইআরএস-এর কাছে জমা দেবে এবং আইআরএস সেই তথ্য যাচাই করবে।

জানা গেছে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে অভিবাসন বিতর্কের মধ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে, ট্যাক্স সংক্রান্ত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, সাধারণত আইআরএস-এর কাছে ব্যক্তিগত ট্যাক্স তথ্য অত্যন্ত গোপনীয় থাকে।

এই চুক্তির অধীনে, আইসিই সন্দেহভাজন অভিবাসীদের নাম এবং ঠিকানা সরবরাহ করবে। এরপর আইআরএস সেই তথ্য যাচাই করবে। তবে, প্রস্তাবিত চুক্তির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আপত্তি উঠেছে। বিশেষ করে, অভিবাসন অধিকার সংস্থাগুলো এই চুক্তির মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের তথ্য আইসিই বা ডিএইচএস-এর সঙ্গে শেয়ার করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দুটি অভিবাসী অধিকার সংস্থা বিচার বিভাগের কাছে একটি মামলা করেছে। তাদের দাবি, ফেডারেল আইন আইআরএস-কে এই ধরনের তথ্য অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেয়ার করতে নিষেধ করে, কারণ ট্যাক্স কোডে আইসিই এবং ডিএইচএস-কে গোপনীয়তা আইনের ব্যতিক্রম হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়নি।

এই চুক্তির ফলে, যারা ট্যাক্স প্রদান করেন, তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ, অবৈধ অভিবাসীরাও তাদের ট্যাক্স ফাইল করার সময় ঠিকানা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করে থাকেন। এখন, যদি এই তথ্য সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে বিনিময় করা হয়, তবে তা গোপনীয়তা রক্ষার নীতির পরিপন্থী হবে।

এই চুক্তির চূড়ান্ত রূপ এখনো দেওয়া হয়নি। তবে, এটি কার্যকর হলে, আইআরএস-এর কাছ থেকে তথ্য চাওয়ার জন্য ডিএইচএস সেক্রেটারি অথবা আইসিই প্রধানের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এছাড়া, ট্যাক্স প্রদানকারীর নাম, ঠিকানা এবং তাদের অপসারণের আদেশের তারিখ উল্লেখ করতে হবে, যা তথ্য যাচাই করতে সহায়ক হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *