ইউরোপীয়ান ফুটবলে স্কটল্যান্ডের জন্য দুঃস্বপ্নের রাত। গ্রিসের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের ফলে তারা উয়েফা নেশন্স লিগের ‘এ’ লীগ থেকে অবনমিত হয়েছে।
খেলার ফলাফল ছিল ৩-০, যেখানে গ্রিক তরুণ খেলোয়াড় কনস্টানটিনোস কারেতসাসের অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। এই হারে স্কটল্যান্ডের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সম্ভাবনাও কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য স্কটল্যান্ডের জন্য খুব একটা খারাপ ছিল না। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে স্কট ম্যাকটমিনে দুটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলেন, কিন্তু গ্রিসের রক্ষণ তা ভেঙে দেয়।
এর পরেই যেন খেলার মোড় ঘুরে যায়। কারেতসাস-এর অসাধারণ নৈপুণ্যে গ্রিস একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ১৭ বছর বয়সী এই তরুণ খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স ছিল সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
তিনি একদিকে যেমন আক্রমণ তৈরি করেছেন, তেমনই স্কটিশ রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিলেন।
প্রথমার্ধে জর্জিয়াস ভাজিয়ানিদিসের ক্রস থেকে জিয়ানিস কনস্টানটেলিয়াসের গোলে গ্রিস এগিয়ে যায়। এরপর কারেতসাসের দুর্দান্ত একটি শটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রায়ান ক্রিস্টির একটি ভুল পাসে সুযোগ পেয়ে যান ক্রিস্টোস জোলিস। তিনি গোল করতে কোনো ভুল করেননি।
খেলা শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে স্কটল্যান্ড।
স্কটিশ সমর্থকেরা তাদের দলের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ হন। বিলি গিলমোরকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তও অনেকে ভালোভাবে নেননি।
এমনকি জন সাউটার গোললাইন থেকে গ্রিসের একটি শট বাঁচালেও, দলের পরাজয় ঠেকানো সম্ভব হয়নি। স্পষ্টতই, গ্রিসের কাছে স্কটল্যান্ডের এই হার তাদের দুর্বলতাকেই প্রকাশ করে।
গ্রিসের এই জয়ে ‘এ’ লীগে তাদের জায়গা পাকা হয়েছে। অন্যদিকে, স্কটল্যান্ডের কোচ স্টিভ ক্লার্ককে এখন দলের দুর্বলতাগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
কারণ, এই পরাজয় তাদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রস্তুতিতেও প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে গ্রিসের বিরুদ্ধে তাদের আসন্ন ম্যাচগুলোতে ভালো ফল করতে হলে, দলীয় পারফরম্যান্সে উন্নতি আনা জরুরি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান