ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ-মিয়ারার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে দেশটির মন্ত্রিসভা। রবিবার এই প্রস্তাব পাস হয় বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এর মাধ্যমে দেশটির বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পদক্ষেপকে নেতানিয়াহুর সমালোচকদের কণ্ঠরোধের একটি কৌশল হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
আদালতের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের কাজ হলো সরকারের আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করা এবং দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা সমুন্নত রাখা। এই পদের স্বাধীনতা যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অপরিহার্য।
অভিযোগ উঠেছে, অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য হলো, সরকারের সঙ্গে তাঁর ‘মতপার্থক্য’। সরকারপক্ষের দাবি, এর ফলে কার্যকরী সহযোগিতা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে অ্যাটর্নি জেনারেল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি একে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করার অপচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এই ঘটনার আগে, দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের প্রধান রনেন বারকে বরখাস্ত করারও চেষ্টা করা হয়েছিল, যা দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আটকে দেয়।
সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপগুলো গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং নেতানিয়াহুর সমালোচকদের দমন করার একটি অংশ।
রনেন বারকে বরখাস্ত করার কারণ হিসেবে নেতানিয়াহু ‘আস্থা’র অভাবের কথা উল্লেখ করেছেন। যদিও সমালোচকদের মতে, গত বছরের ৭ই অক্টোবর হামাসের হামলার আগে নিরাপত্তা ব্যর্থতার কারণে বারকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কারণ, বার ওই ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। এমনকি, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষের মামলার বিষয়টিও এখানে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শিন বেট নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের কাতার থেকে আসা অর্থের বিষয়ে তদন্ত করেছে।
শিন বেট একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ৭ই অক্টোবরের হামলার ঘটনা তারা ঠেকাতে পারত। একইসঙ্গে তারা হামলার পরিস্থিতি তৈরিতে নেতানিয়াহুর ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করে।
যদিও নেতানিয়াহুর কার্যালয় এই ধরনের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
বর্তমানে, অ্যাটর্নি জেনারেলকে অপসারণের প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি। একটি কমিটি উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবে এবং পর্যালোচনা করবে।
এরপর যদি কমিটি অপসারণের পক্ষে মত না দেয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্ত আটকে দিতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা