তুরস্কে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোগলুর কারাদণ্ডের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধী দলের প্রভাবশালী এই নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে, যার জেরে তাকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তুরস্কের রাজনীতিতে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া তাৎপর্যপূর্ণ।
খবর অনুযায়ী, মেয়র ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের কয়েকদিনের মধ্যেই সিলিবরি কারাগারে পাঠানো হয়। তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার মেয়র পদ থেকে অপসারণের ঘোষণা করে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আদালতের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।
অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন। বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়। রাজধানী আঙ্কারাতে জলকামান ব্যবহার করা হয়।
বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। বিশেষ করে, ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)-এর ৭০০-এর বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সংবাদ সংস্থা, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ‘এক্স’ কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপকে ‘বেআইনি’ বলে অভিহিত করেছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে। জানা গেছে বিক্ষোভ সমন্বয়কারীদের অ্যাকাউন্টও স্থগিত করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। দেশটির তিনটি প্রধান শহরে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, এরপরেও বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে, যা তুরস্কের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা