শিরোনাম: লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে বিভ্রাট, ১৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায় পরিষেবা
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর, যা ইউরোপের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর, শুক্রবার এক ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়। একটি সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলস্বরূপ প্রায় ১৮ ঘণ্টার জন্য বিমানবন্দরের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে হয়। এই ঘটনার জেরে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েন এবং বিমান সংস্থাগুলির কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি সাবস্টেশনে আগুন লাগার ফলে এই বিপর্যয় ঘটে। বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জরুরি অবস্থার কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখতে তারা কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। বিমানবন্দরের মুখপাত্র জানান, এই ধরনের বড় ধরনের সমস্যার পরে কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে বেশ সময় লেগেছে। হিথরোর আকার এবং কার্যক্রমের জটিলতার কারণে সবকিছু পুনরায় চালু করা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল।
তবে, এই ঘটনার জন্য ন্যাশনাল গ্রিড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হিথরোর মতবিরোধ দেখা যায়। ন্যাশনাল গ্রিডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন পেটিগ্রু জানান, তাদের গ্রিড সবসময়ই বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম ছিল, এমনকি ঘটনার সময়ও দুটি সাবস্টেশন বিদ্যুতের যোগান দিতে প্রস্তুত ছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় হিথরোর পক্ষ থেকে তাদের পদক্ষেপের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ সহ বিভিন্ন বিমান সংস্থা এই ঘটনায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্রিটিশ সরকার উভয়ই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যুক্তরাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী হেইডি আলেকজান্ডার এই ঘটনার গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, “আমরা এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে চাই, এবং সেই কারণেই এই দুটি তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
হিথরো বিমানবন্দর একটি বেসরকারি সংস্থা, যার মালিকানায় রয়েছে ফ্রান্সের আর্ডিয়ান, কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি এবং সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড সহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান। বিমানবন্দরের এই অচলাবস্থার কারণে বিশ্বজুড়ে বিমান চলাচলে প্রভাব পড়েছে।
এই ঘটনার ফলে বিমানবন্দরের অবকাঠামো এবং জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নতুন করে সামনে এসেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন