ঐক্যবদ্ধ ম্যান ইউ: ২০ বছর পর গ্লেজার্সদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল সমর্থকরা!

**ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ভক্তদের প্রতিবাদ: গ্লেজার পরিবারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন সমর্থকরা**

ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মালিকানা নিয়ে অসন্তুষ্ট সমর্থকরা এবার একজোট হয়ে প্রতিবাদে নামছেন। গ্লেজার পরিবারের গত ২০ বছরের মালিকানায় ক্লাবের উপর ঋণের বোঝা বৃদ্ধি এবং দল পরিচালনায় বিনিয়োগের অভাবের অভিযোগ তুলেছেন তারা।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে এফসি ইউনাইটেড অফ ম্যানচেস্টার এবং ‘দ্য ১৯৫৮’ নামের একটি ফ্যান গ্রুপ। শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই প্রতিবাদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইউনাইটেড ইউনাইটেড ডে’।

২০০৫ সালে, গ্লেজার পরিবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধিগ্রহণ করার পর অসন্তুষ্ট কিছু সমর্থক দল থেকে বেরিয়ে এসে এফসি ইউনাইটেড গঠন করেন। সেই সময় থেকেই তারা গ্লেজার পরিবারের নীতির তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন।

এবার তারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মূল সমর্থকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন।

প্রতিবাদটি অনুষ্ঠিত হবে এফসি ইউনাইটেডের হোম ম্যাচে। কারণ, ঐদিন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোনো খেলা নেই।

খেলা শুরুর আগে সমর্থকরা মাঠের একপাশে একত্রিত হয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করবেন। গ্লেজার পরিবারের বিতর্কিত মালিকানার কারণে ক্লাবের উপর প্রায় ৭৩০ মিলিয়ন পাউন্ড ঋণ রয়েছে।

এছাড়াও খেলোয়াড় কেনা-বেচায় আরও ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড এবং গত তিন বছরে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড লোকসান হয়েছে।

জানা যায়, ২০০৪ সালে মালকম গ্লেজার এই ক্লাবটি কিনেছিলেন। এরপর তার ছয় সন্তানের হাতে ক্লাবের মালিকানা আসে।

বর্তমানে, স্যার জিম র‍্যাটক্লিফ-এর শেয়ার কেনার পরেও গ্লেজার পরিবারই সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিক হিসেবে বহাল রয়েছে।

এদিকে, চেলসি ক্লাব তাদের খেলোয়াড়, জেডন সানচোর লোনের বিষয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, যদি চেলসি ১৪তম স্থানের নিচে না শেষ করে, তবে সানচোর স্থায়ীভাবে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।

সেক্ষেত্রে চেলসিকে ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড দিতে হতে পারে। চুক্তির শর্ত পূরণ না হলে চেলসিকে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রতিবাদ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের ভবিষ্যৎ এবং এর পরিচালনার ধরনের উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

সমর্থকরা চান, ক্লাব যেন তাদের ঐতিহ্য ও গৌরবের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেয় এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আরও স্বচ্ছতা আনা হয়।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *