লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের জেরে কয়েক হাজার বিমান বাতিল হওয়ার পর বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন লাগার কারণে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, যার ফলে প্রায় ১,৩০০ এর বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনার জেরে দুই লক্ষেরও বেশি যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। প্রায় ১৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করা হলেও, এত দীর্ঘ সময় ধরে বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণ নিয়ে অনেকে কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করছেন।
ব্রিটেনের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ন্যাশনাল গ্রিড কর্তৃপক্ষের মতে, বিমানবন্দরের অন্য সাবস্টেশনগুলো চালু ছিল এবং সেগুলোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যেত। ন্যাশনাল গ্রিডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন পেটিগ্রু জানান, একটি সাবস্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, অন্যান্য সাবস্টেশনগুলো চালু ছিল এবং সেগুলোর মাধ্যমে হিথরোর বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা যেত।
তবে, বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যবস্থা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল এবং পুনরায় সেগুলো চালু করা একটি জটিল প্রক্রিয়া ছিল।
হিথরোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টমাস ওল্ডবি এই ঘটনার সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিমানবন্দরের চিফ অপারেটিং অফিসারকে (সিওও) দায়িত্ব দেওয়ায় অনেকে তারও সমালোচনা করছেন। যুক্তরাজ্যের পরিবহন সচিব হেইডি আলেকজান্ডার বলেছেন, তিনি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত নন।
এই ঘটনার পর যুক্তরাজ্যের জ্বালানি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সরকার এরই মধ্যে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও, পরে তা লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ফায়ার ব্রিগেড সাবস্টেশনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পরীক্ষা করছে।
হিথরোর এই ঘটনার কারণে এয়ারলাইন্সগুলোকে কোটি কোটি ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে, যা বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের জন্য ভোগান্তি সৃষ্টি করে।
বিশেষ করে, যারা অন্য কোনো গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ট্রানজিট হিসেবে হিথরো ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে জটিলতা আরও বাড়ে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ভবিষ্যতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			