ফেসিয়াল সৌন্দর্য বাড়াতে তরুণদের অস্ত্রোপচার: বাড়ছে আগ্রহ!

বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সৌন্দর্যচর্চার ধারণা দ্রুত বদলাচ্ছে। বয়সের ছাপ লুকানোর বদলে, নিজেদের বৈশিষ্ট্য আরও ফুটিয়ে তোলার দিকে ঝুঁকছেন তারা। সম্প্রতি, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মুখের গড়ন উন্নত করার প্রবণতা বাড়ছে, যা আগে সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যেত।

এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আগে ফেসলিফ্ট বা মুখের চামড়া টানটান করার অস্ত্রোপচারকে বয়স্ক মানুষের সৌন্দর্যচর্চার অংশ হিসেবেই দেখা হতো। কিন্তু এখনকার চিত্রটা ভিন্ন। বর্তমানে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে, এই ধরনের অস্ত্রোপচারের চাহিদা বাড়ছে।

আমেরিকান সোসাইটি অফ প্লাস্টিক সার্জনস (ASPS)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ২০ থেকে ২৯ বছর এবং ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ফেসলিফ্ট রোগীদের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়েছে।

ডাঃ জোনাথন জেলকেন, যিনি ক্যালিফোর্নিয়ার নিউপোর্ট বীচে একজন বোর্ড-সার্টিফাইড প্লাস্টিক সার্জন, তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, তার রোগীদের মধ্যে অনেকেই এখন “আরও ধারালো চোয়াল, তীক্ষ্ণ গাল এবং ভুরু” চান।

তাদের মূল লক্ষ্য হলো, বিদ্যমান সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা, যা “পুনরুজ্জীবনের কৌশল” থেকে “সৌন্দর্যবর্ধনের কৌশল”-এর দিকে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, নিজেদের চেহারা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের ওপর এর প্রভাব অনেক বেশি। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যদের দেখে নিজেদের চেহারা আরও আকর্ষণীয় করতে চায়।

এই কারণে, অনেক কম বয়সী মানুষ এখন ফেসলিফ্টের মতো অস্ত্রোপচারের দিকে ঝুঁকছে।

তবে, এই অস্ত্রোপচার সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। কিছু সার্জন তরুণ রোগীদের অস্ত্রোপচার করতে দ্বিধা বোধ করেন। ক্যালিফোর্নিয়ার সার্জন ডঃ কেলি কিলিন মনে করেন, বয়স্করা তাদের যৌবনের সৌন্দর্য ফিরে পেতে চান, যেখানে তরুণরা এমন কিছু পেতে চায় যা হয়তো বাস্তবে সম্ভব নয়।

এই অস্ত্রোপচারের কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া, বারবার অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হতে পারে।

এই বিষয়ে, বিভিন্ন জনের ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, এই ধরনের অস্ত্রোপচার তরুণদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। আবার, কারো কারো মতে, এর দীর্ঘমেয়াদী কিছু নেতিবাচক প্রভাব থাকতে পারে।

অস্ত্রোপচার করার আগে, অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং এর ভালো-মন্দ দুটো দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরি।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *