অবশেষে মুখ খুললেন ট্রাম্প: প্রতিকৃতি নিয়ে এত ‘রাগ’ কেন?

ডোনাল্ড ট্রাম্প: কলোরাডোর প্রতিকৃতি নিয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অসন্তোষ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের আইনসভা ভবনে (ক্যাপিটল বিল্ডিং) টাঙানো নিজের প্রতিকৃতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই ছবিটিকে ‘সবচেয়ে খারাপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এর জন্য রাজ্যের ডেমোক্রেটিক গভর্নর জারেড পলিসকে দায়ী করেছেন।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তাকে ব্যঙ্গ করেছেন।

রবিবার (স্থানীয় সময়) ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ প্রতিকৃতিটির ছবি পোস্ট করে এর সমালোচনা করেন। তিনি ছবিটির মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একে ‘ভয়ঙ্কর’ বলেও উল্লেখ করেন।

যদিও এই প্রতিকৃতিটি আসলে ট্রাম্পের এক রিপাবলিকান সমর্থকের অর্থায়নে তৈরি করা হয়েছিল।

ট্রাম্প তার পোস্টে অভিযোগ করেন, তার প্রতিকৃতি ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করা হয়েছে। এরপর তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কলোরাডোর ক্যাপিটলে থাকা প্রতিকৃতির প্রশংসা করেন।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, কলোরাডোর গভর্নরের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, তারা ট্রাম্পের রুচি এবং কলোরাডোর ক্যাপিটলের শিল্পকর্মের প্রতি আগ্রহ দেখে ‘আশ্চর্য’ হয়েছেন। গভর্নরের একজন মুখপাত্র জানান, তারা ক্যাপিটল বিল্ডিং পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে আগ্রহী।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে কলোরাডোর ক্যাপিটলে তার কোনো প্রতিকৃতি ছিল না। এমনকি এর আগে, ২০১৮ সালে এক রাজনৈতিক কর্মী সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বড় ছবি স্থাপন করেছিলেন, যা দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়।

এরপর কলোরাডোর এক রিপাবলিকান সিনেটর তহবিল সংগ্রহ করে ট্রাম্পের প্রতিকৃতি স্থাপন করেন। এই প্রতিকৃতি তৈরিতে প্রায় ১০,০০০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১-১২ লক্ষ টাকা) খরচ হয়েছিল।

ট্রাম্পের এই প্রতিক্রিয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে অনেকে তাকে বিদ্রূপ করেছেন। অনেকে তার এই আচরণকে ‘অস্থির’ এবং ‘অতিরিক্ত সংবেদনশীল’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *