তুরস্কের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোগলুকে কেন্দ্র করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। তিনি শুধু ইস্তাম্বুলের মেয়রই নন, ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)-র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনীত হয়েছেন।
সম্প্রতি তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা তুরস্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ইমামোগলুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে এরই মধ্যে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন এবং তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
বিশেষ করে ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা ও ইজমিরের মতো বড় শহরগুলোতে এই বিক্ষোভ বেশি দেখা যাচ্ছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে ইমামোগলু অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত।
অনেকের মতে, এরদোয়ানের শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে এবং ইমামোগলুর জনপ্রিয়তা সেই সুযোগ তৈরি করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইমামোগলুর গ্রেফতারের ঘটনা তুরস্কের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে পারে। এর কারণ, এরদোয়ানের সরকারের বিরুদ্ধে এটি বিরোধী দলের একটি বড় ধরনের প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইমামোগলু যদি নির্বাচনে জয়লাভ করেন, তাহলে তুরস্কের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় পরিবর্তন আসবে।
একরাম ইমামোগলুর রাজনৈতিক জীবন বেশ দীর্ঘ এবং ঘটনাবহুল। তিনি বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার জনগণের কাছে তাকে আরও বেশি পরিচিত করে তুলেছে।
বর্তমানে, তার গ্রেফতার এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতি তুরস্কের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা