মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর খবর!

এল সালভাদরে আটক ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের মুক্তি চেয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন আইনজীবীরা। জানা গেছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়া ৩০ জন ভেনেজুয়েলার নাগরিকের পরিবারের পক্ষে এই আবেদন জানানো হয়েছে।

আইনজীবীরা আটককৃতদের আটকের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছেন এবং তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার (গতকালের) এই আবেদনটি করেন ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের আইনজীবীরা। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বিতাড়িত হওয়া ২৩৮ জন ভেনেজুয়েলার নাগরিকের ক্ষেত্রেও এই আবেদন প্রযোজ্য হবে।

আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের অনুরোধে তারা এই মামলা লড়ছেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, আটককৃতদের আইনি status খতিয়ে দেখে একটি রায় প্রদান করা হোক। তাদের মতে, যদি আটকাদেশ অবৈধ হয়, তবে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

অন্যদিকে, এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘টেররিস্ট কনফাইনমেন্ট সেন্টার’ (Cecot)-এ রাখার জন্য সন্দেহভাজন ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ নামক একটি অপরাধী চক্রের ২৩৮ জন সদস্যকে পাঠিয়েছে।

যদিও তিনি তাদের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি এবং কোনো প্রমাণও দেননি। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিতাড়িত হওয়া সকলের বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বিতাড়িত হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ১৩৭ জনকে ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’-এর অধীনে বিতাড়িত করা হয়েছে। এই আইনের প্রয়োগ সাধারণত যুদ্ধকালীন সময়ে করা হয়।

বর্তমানে এই আইনের প্রয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা চলছে।

মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’-এর আমেরিকা বিষয়ক ডেপুটি ডিরেক্টর হুয়ান পাপিয়েরের মতে, এল সালভাদরের আদালতের পক্ষে বুকেলে সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়াটা ‘বাস্তবসম্মত’ হবে না।

কারণ, দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বুকেলে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি ভেনেজুয়েলার পরিবারগুলোর উদ্বেগের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং তাদের আইনি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

এই বিষয়ে এল সালভাদরের মানবাধিকার বিষয়ক সরকারি সংস্থা ‘ন্যাশনাল কমিশন অন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন’ জানিয়েছে, Cecot-এ আটক ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের পরিবার চাইলে তাদের মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে পারে।

সংস্থাটি আরও জানায়, সোমবার সকাল পর্যন্ত তারা আটককৃতদের মুক্তির জন্য সাতটি আবেদন পেয়েছে।

আদালত কবে নাগাদ এই আপিলের শুনানি করবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সময়সীমা জানা যায়নি।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *