মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খবর নিয়ে আলোচনা করা হলো। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের কিছু পদক্ষেপ এবং ঘটনার জেরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
প্রথমেই আসা যাক, নিরাপত্তা লঙ্ঘনের একটি ঘটনার প্রসঙ্গে। জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা একটি সংবেদনশীল সামরিক পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে একজন সাংবাদিককে সিগন্যাল গ্রুপ চ্যাটে যুক্ত করেন। এই গোপনীয়তা ভঙ্গের ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এর ফলে দেশের নিরাপত্তা দুর্বল হয়েছে এবং সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচিত।
অন্যদিকে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি প্রতিকৃতি নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কলোরাডোর স্টেট ক্যাপিটল বিল্ডিং থেকে তার প্রতিকৃতি অপসারণের দাবিতে সরব হয়েছিলেন তিনি। প্রতিকৃতিটি ভালো হয়নি এমন অভিযোগ করে তিনি এর জন্য কলোরাডোর গভর্নরকে দায়ী করেন। যদিও জানা যায়, রিপাবলিকান দলের একজন অনুসারী এই প্রতিকৃতি তৈরি করিয়েছিলেন।
এছাড়াও, ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এই কর্মীদের আশঙ্কা, দেশে ফিরলে তারা হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হতে পারেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায়, একজন বিচারক মন্তব্য করেছেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের চেয়ে নাৎসিদের বেশি অধিকার দিয়েছে। এই মন্তব্যের জেরে অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের ইস্টার এগ রোল অনুষ্ঠানের জন্য অর্থ সংগ্রহের একটি নতুন পদ্ধতির কারণেও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য ব্যক্তি বা কোম্পানিগুলো দুই লক্ষ ডলার পর্যন্ত দিতে পারবে। এই পদক্ষেপ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। (বর্তমান বিনিময় হার অনুসারে, এটি প্রায় ২ কোটি টাকার সমান)।
এছাড়াও, অভিনেতা জর্জ ক্লুনিকে নিয়েও ট্রাম্পের মন্তব্য সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। ক্লুনির একটি সাক্ষাৎকারের সমালোচনা করে ট্রাম্প তাকে ‘দ্বিতীয় শ্রেণির’ অভিনেতা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন কর্মকর্তাদের সম্ভাব্য সফর নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে ‘বিদেশি হস্তক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনায়, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী, যিনি ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন, তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
অন্যদিকে, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সৌদি আরবে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এছাড়াও, টেক্সাসের একটি টেসলা ডিলারশিপে ‘আগুন লাগানোর সরঞ্জাম’ পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পোস্টমাস্টার জেনারেল লুইস ডি’জয় পদত্যাগ করেছেন। সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স অবৈধ অভিবাসন ও ফেন্টানিলের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান