উইসকনসিন: সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে ‘শিক্ষা’ পরীক্ষায় লড়ছে ডেমোক্র্যাটরা!

উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের আসন্ন নির্বাচন: গণতন্ত্রের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে সুপ্রিম কোর্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন আসন্ন। এই নির্বাচন শুধু একটি পদের জন্য লড়াই নয়, বরং এর চেয়ে অনেক বেশি কিছু।

এই নির্বাচন নির্ধারণ করবে রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের আদর্শিক ভারসাম্য। একদিকে যেমন রয়েছে প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার সমর্থকরা, তেমনই অন্য দিকে রক্ষণশীলদের প্রভাব বিস্তারের সম্ভবনাও রয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাই রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা।

আসন্ন নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদের জন্য লড়ছেন দুই জন প্রার্থী। এদের মধ্যে একজন হলেন সুসান ক্রফোর্ড, যিনি ডেন কাউন্টি সার্কিট কোর্টের বিচারক এবং অতীতে ডেমোক্রেট দলের গভর্নরের আইনি পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অন্যদিকে, ব্র্যাড স্কিমেল ওউয়াকা কাউন্টি সার্কিট কোর্টের বিচারক এবং ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।

উইসকনসিনের এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধান উদ্বেগের বিষয় হলো, সেখানকার ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের অনীহা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অনেক ভোটার এখন আর রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে বা এতে অংশ নিতে আগ্রহী নন।

এর কারণ হিসেবে তারা মনে করেন, জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির আর্থিক সহায়তা। সম্প্রতি, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক একটি রক্ষণশীল গোষ্ঠীকে প্রায় সাত মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডেমোক্রেট দল এবং তাদের সমর্থকরা উদ্বিগ্ন। তাঁদের মতে, বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য একটি অশনি সংকেত।

নির্বাচনে প্রচারণার ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কারো কারো মতে, পুরোনো দিনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার পদ্ধতি এখন আর আগের মতো কার্যকর নয়।

আবার কেউ কেউ মনে করেন, ডিজিটাল প্রচারণার পাশাপাশি সরাসরি ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই।

এই নির্বাচনের ফলাফল শুধু উইসকনসিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে। কারণ, এই অঙ্গরাজ্যের ফল অনেক সময় জাতীয় নির্বাচনের গতিপথও নির্ধারণ করে।

গণতন্ত্রে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগ যদি নিরপেক্ষ না থাকে, তবে তা জনগণের অধিকার রক্ষার পরিবর্তে ক্ষমতাধরদের স্বার্থ রক্ষা করবে।

এই নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচন করা উচিত।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *