৫ পাউন্ডের বেশি দাম! পানশালা যাওয়ার স্বপ্নে বড় ধাক্কা!

যুক্তরাজ্যে বাড়ছে পানীয়ের দাম: বন্ধ হতে পারে পাব, বাড়ছে সামাজিক দূরত্ব?

বিশ্বজুড়ে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে। সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যেও এর প্রত্যক্ষ প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

খবর অনুযায়ী, আগামী মাস থেকে সেখানে এক pint (প্রায় ৫৬৮ মিলি) বিয়ারের গড় দাম ৫ পাউন্ড ১ পেনি (প্রায় ৬৮০ টাকা)-তে পৌঁছতে পারে। এই মূল্যবৃদ্ধি ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যের পাব-এর জগতে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

মূল্যবৃদ্ধির কারণ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, জাতীয় বীমা খাতে নিয়োগকর্তাদের দেওয়া অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং ব্যবসার উপর ধার্য করা করের (business rates) হ্রাস।

কোভিড পরিস্থিতির পর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও, এই ধরনের খরচ বৃদ্ধি পাব মালিকদের জন্য এক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

পাব-এর ভবিষ্যৎ কী?

পাবগুলি হলো যুক্তরাজ্যের সামাজিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেখানে মানুষজন একত্রিত হয়ে সময় কাটান, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

কিন্তু বিয়ারের দাম বাড়লে, অনেকেই হয়তো পাব-এ যাওয়া কমিয়ে দেবেন। এমনটাই আশঙ্কা করছেন পাব মালিকরা।

ইতোমধ্যে, অনেক পাব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তথ্য বলছে, ডিসেম্বরে পাবের সংখ্যা ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো ৩৯,০০০-এর নিচে নেমে এসেছে।

ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের একটি পাব-এর ম্যানেজার লিসা চোপেন জানিয়েছেন, তাঁদের ব্যবসার প্রধান খরচ হলো কর্মী ও ব্যবসার কর। তাঁর মতে, গ্রাহকরা সবসময় দাম বৃদ্ধির বিষয়টি বুঝতে পারেন না।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

স্থানীয় বাসিন্দারাও এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁদের মতে, দাম বাড়লে অনেকেই হয়তো পাবের বদলে বাড়িতে বসে পান করতে চাইবেন।

এছাড়াও, সামাজিক জীবন থেকে মানুষজন দূরে চলে যেতে পারেন, যা একাকীত্ব ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যবৃদ্ধির এই চাপ যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতির একটি অংশ।

জীবনযাত্রার এই ব্যয় বৃদ্ধি সম্ভবত আরও কিছুদিন চলবে, যার প্রভাব বিভিন্ন স্তরে অনুভূত হবে।

উপসংহার

যুক্তরাজ্যে বিয়ারের দাম বৃদ্ধি সেখানকার পাব ব্যবসার জন্য একটি সংকট তৈরি করেছে।

এই পরিস্থিতি সেখানকার মানুষের সামাজিক জীবন এবং অর্থনীতির উপর গভীর প্রভাব ফেলবে।

এই ঘটনা বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতা এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের একটি উদাহরণ।

তথ্য সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *