বোস্টনের কাছে একটি আদালতে বহুল আলোচিত একটি মামলার শুনানি হতে যাচ্ছে, যেখানে একজন নারীর বিরুদ্ধে তার প্রেমিককে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত নারী হলেন কারেন রিড।
এই মামলার শুনানি ঘিরে তৈরি হয়েছে কৌতূহল, কারণ কারেন রিডের সমর্থনে আদালতের বাইরে নিয়মিত জমায়েত হচ্ছেন সমর্থকেরা।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, কারেন রিডের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার প্রেমিক, পুলিশ অফিসার জন ও’কীফকে গাড়ি দিয়ে চাপা দিয়েছিলেন এবং পরে তাকে তুষারপাতের মধ্যে ফেলে রেখে যান, যার ফলে তার মৃত্যু হয়।
যদিও প্রথম দফা বিচার কার্যক্রম শেষ পর্যন্ত একটি অচলাবস্থায় পৌঁছায়, কারণ জুরিরা তাদের রায়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি।
আদালতের বাইরে কারেন রিডের সমর্থকদের উপস্থিতি এই মামলার একটি বিশেষ দিক।
সাধারণত, কোনো নারী অভিযুক্ত হলে, জনমনে তার প্রতি ঘৃণা বা বিরূপ মনোভাব দেখা যায়।
কিন্তু এই মামলায় দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
রিডের সমর্থকেরা নিয়মিতভাবে আদালতের বাইরে জড়ো হচ্ছেন, তাদের হাতে দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের প্রতীকী উপকরণ।
তারা ‘ফ্রি কারেন রিড’ স্লোগান দিচ্ছেন এবং তাদের সমর্থনে অনেক গাড়িচালক হর্ন বাজাচ্ছেন।
তবে, এই সমর্থন বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
বিচারকের মতে, বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে আদালতের বাইরে এমন কার্যকলাপ কাম্য নয়।
এই বিষয়ে ফ্লরিডার আইনজীবী চেনেই ম্যাসন বলেছেন, “আদালতের বাইরে যদি কেউ বিচারকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন, তবে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।”
অন্যদিকে, রিডের আইনজীবীরা বলছেন, জন ও’কীফকে সম্ভবত অন্য একটি স্থানে আক্রমণ করা হয়েছিল এবং পরে তাকে সেখানে ফেলে রাখা হয়।
তারা এই ঘটনার পেছনে একটি ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন।
রিডের সমর্থকেরা মনে করেন, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং তারা চান সত্যের উন্মোচন হোক।
আদালতের বাইরে সমর্থকদের এই সমাবেশ এবং তাদের কার্যক্রম মামলার পরবর্তী শুনানিতে কেমন প্রভাব ফেলে, সেটি এখন দেখার বিষয়।
আগামী ১লা এপ্রিল থেকে রিট্রায়াল বা পুনরায় বিচার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন