পোপ ফ্রান্সিসের চিকিৎসারত ডাক্তারদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল, যেখানে তারা চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন।
ইতালীয় সংবাদ মাধ্যম কোরিয়ার ডেলা সেরার একটি প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
অধ্যাপক সার্জিও আলফিয়েরি, যিনি পোপের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি জানিয়েছেন যে ২৮শে ফেব্রুয়ারি তারিখে শ্বাসকষ্টের গুরুতর পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হয়।
চিকিৎসকদের দল যখন পোপের চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করছিলেন, সেই সময় তিনি নিজের বমি শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করেছিলেন।
আলফিয়েরি জানান, “আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল, চিকিৎসা বন্ধ করে দেবো, নাকি সব রকম ওষুধ ও চিকিৎসা চালিয়ে যাবো, যেখানে অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল অনেক বেশি।
শেষ পর্যন্ত আমরা চিকিৎসার পথ বেছে নিয়েছিলাম।”
চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন পোপের নার্স মাসিমিলিয়ানো স্ট্রাপ্পেত্তি।
তিনি আলফিয়েরি-কে বলেছিলেন, “সব চেষ্টা করুন, আমরা হাল ছাড়ব না।”
আলফিয়েরি আরও জানান, তাঁরাও সবাই তাই ভেবেছিলেন এবং কেউই হাল ছাড়েননি।
পোপ ফ্রান্সিস দীর্ঘ ৩৮ দিন হাসপাতালে ছিলেন।
তিনি ২৩শে মার্চ হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
হাসপাতালে থাকার সময় পোপ বেশ কয়েকবার শ্বাসকষ্টে ভুগেছিলেন।
অধ্যাপক আলফিয়েরি আগে জানিয়েছিলেন যে, এর মধ্যে দুটি ঘটনা পোপের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
ভ্যাটিকান সিটি, পোপের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করেছিল।
আলফিয়েরি জানিয়েছেন, পোপ নিজেই চেয়েছিলেন তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে যেন সবাই জানতে পারে।
ভ্যাটিকানের বুলেটিনগুলো তৈরি করা হয়েছিল চিকিৎসা দলের মাধ্যমে, যেখানে পোপের ব্যক্তিগত সচিবদের কিছু সংযোজন ছিল।
“প্রথম দিন থেকেই তিনি আমাদের কাছে সত্য ঘটনা জানানোর অনুরোধ করেছিলেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সবকিছু জানাতে বলেছিলেন।
কোনও কিছুই গোপন করা হয়নি।”
তথ্য সূত্র: সিএনএন