‘সেভারেন্স’-এর মতো? দেখুন ‘ট্রায়াঙ্গেল’, যা আপনার মস্তিষ্ককে ওলট-পালট করে দিতে পারে!

একটি জটিল ধাঁধার মতো, “ট্রায়াঙ্গেল” (Triangle) চলচ্চিত্রটি দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে। যারা রহস্য, ভীতি আর অপ্রত্যাশিত মোড় পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই সিনেমাটি একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা হতে পারে।

ক্রিস্টোফার স্মিথ পরিচালিত ২০০৯ সালের এই চলচ্চিত্রটি দর্শকদের মনে গভীর কৌতূহল জাগিয়ে তোলে, যা একবার দেখলে সহজে ভোলা যায় না।

“ট্রায়াঙ্গেল” -এর গল্প শুরু হয় সমুদ্রের মাঝে একদল বন্ধুকে নিয়ে, যারা একটি নৌকায় করে ভ্রমণে বের হয়। সমুদ্র ভ্রমণের এক পর্যায়ে তারা এক ভয়ংকর ঝড়ের কবলে পরে এবং তাদের নৌকা ডুবে যায়।

এরপর তারা একটি বিশাল, পরিত্যক্ত জাহাজে আশ্রয় নেয়। তাদের যাত্রা তখন থেকেই এক নতুন দিকে মোড় নেয়, যখন তারা বুঝতে পারে যে তারা সময়ের আবর্তে আটকা পড়েছে।

গল্পের প্রধান চরিত্র জেস (মেলিসা জর্জে) কে কেন্দ্র করে ঘটনার ঘনঘটা তৈরি হতে থাকে, যেখানে সময়ের গোলকধাঁধায় আটকে পড়া মানুষের মানসিক অবস্থা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

চলচ্চিত্রটি দর্শকদের মধ্যে দ্বিধা তৈরি করে, যা গল্পের গভীরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। “ট্রায়াঙ্গেল” -এর প্রধান আকর্ষণ হলো এর জটিল প্লট, যা দর্শকদের অনুমান করতে বাধ্য করে ঘটনার পরবর্তী ধাপগুলো কি হতে পারে।

যারা ক্লাসিক ধাঁধা পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ চলচ্চিত্র। সিনেমার প্রতিটি দৃশ্য, সংলাপ এবং ঘটনার ঘনঘটা দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।

“ট্রায়াঙ্গেল” -এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল, এর সীমিত বাজেট সত্ত্বেও গল্পের গভীরতা এবং অভিনয়ের মুন্সিয়ানা। মেলিসা জর্জে-এর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে।

তিনি জেস চরিত্রে এতটাই মিশে গিয়েছেন যে, দর্শক তার কষ্ট অনুভব করতে পারে।

“ট্রায়াঙ্গেল” শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক খেলা। এটি দর্শকদের চিন্তা করতে বাধ্য করে, যা সিনেমার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

যারা নতুন কিছু দেখতে চান এবং যারা ভয়ের সাথে বুদ্ধির খেলা উপভোগ করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য “ট্রায়াঙ্গেল” একটি উপযুক্ত পছন্দ হতে পারে।

তাই, রহস্য ভালোবাসেন এমন দর্শকদের জন্য এই সিনেমাটি একবার হলেও দেখা উচিত।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *