আতঙ্ক! তুরস্কের বিক্ষোভে সাংবাদিকদের আটকের খবরে তোলপাড়!

তুরস্কে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করার অভিযোগে আট সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুলে এই ঘটনা ঘটে। আটকদের মধ্যে রয়েছেন এএফপির (Agence France-Presse) একজন সাংবাদিক এবং প্রাক্তন এএফপি চিত্র সাংবাদিক।

তাদের মুক্তি দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত বাতিল করে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন ইস্তাম্বুলের একজন সরকারি কৌঁসুলি।

গত কয়েক বছর ধরে তুরস্কে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ বাড়ছে। এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোগলুকে গ্রেফতারের পর। ইমামোগলু প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের একজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত।

তাকে আসন্ন নির্বাচনে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেও দেখা হচ্ছে। বিক্ষোভের কারণে তুরস্কের পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা “অবৈধ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন এবং সতর্কবার্তা সত্ত্বেও সেখান থেকে সরতে রাজি হননি”।

এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে “রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস”। তুরস্কের ফটো সাংবাদিক ইউনিয়ন এটিকে “বেআইনি, বিবেকহীন এবং অগ্রহণযোগ্য” বলে অভিহিত করেছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে ১,৪১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বর্তমানে ৯৭৯ জন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং আজ ৪৭৮ জনকে আদালতে তোলা হবে। তিনি আরও বলেন, যারা রাস্তায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে, জাতীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের উপর আঘাত হানছে, এমনকি পুলিশ কর্মকর্তাদের উপর হামলা করছে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের মানবাধিকার নীতি বিভাগের মিডিয়া বিশেষজ্ঞ এমরে কিজিলকায়া বলেছেন, তুরস্কে সাংবাদিকদের প্রায়ই আটক করা হয়, তবে সরকারি কৌঁসুলিদের সাংবাদিকদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়াটা খুবই বিরল ঘটনা।

তিনি বলেন, সম্ভবত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিত্র সাংবাদিক হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিজিলকায়া আরও যোগ করেন, কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *