ব্রিটেনে ঘোড়দৌড়ে অংশ নেওয়া ঘোড়াগুলোর স্বাস্থ্য এবং খেলার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে জীন ডোপিং পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ হর্স রেসিং অথরিটি (বিএইচএ) এই পরীক্ষার জন্য প্রায় ২ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯ কোটি টাকা) খরচ করেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন থেকে নিয়মিতভাবে ঘোড়দৌড়ের দিন এবং প্রতিযোগিতার বাইরের সময়েও নমুনা সংগ্রহ করে এই পরীক্ষা করা হবে।
বিএইচএ’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী ব্রান্ট ডানশেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, “জীন ডোপিং পরীক্ষা ব্রিটিশ রেসিংয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে আমরা ঘোড়াগুলোর কল্যাণ নিশ্চিত করতে এবং খেলার নিয়ম-কানুন সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
যদিও বর্তমানে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে ব্রিটেনে অথবা আন্তর্জাতিক ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় জীনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো ঘোড়ার কর্মক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে, তবু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে এমন ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়ছে। জীন ডোপিংয়ের মাধ্যমে ঘোড়ার ডিএনএ-র পরিবর্তন করা হয়, যা তাদের দৌড়ের ক্ষমতা বাড়াতে অথবা দ্রুত সেরে উঠতে সহায়তা করে।
এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো ঘোড়দৌড়কে সবার জন্য আরও ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক করা। এছাড়াও, ঘোড়াগুলোর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
কর্তৃপক্ষ মনে করে, এই পদক্ষেপের ফলে ঘোড়দৌড়ের ঐতিহ্য এবং ‘থরোব্রেড’ জাতের ঘোড়াগুলোর সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব হবে।
খেলার জগতে, বিশেষ করে যেখানে প্রাণীদের ব্যবহার করা হয়, সেখানে এ ধরনের পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি। এর মাধ্যমে খেলার নৈতিক মান বজায় রাখা এবং সবার জন্য একটি সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: The Guardian