2032 সালে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক গেমসের ভেন্যু পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বাড়ছে। কুইন্সল্যান্ডের নতুন সরকার পুরনো প্রতিশ্রুতি ভেঙে নতুন স্টেডিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও এই সিদ্ধান্তের কারণে স্থানীয় জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
গত বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বর্তমান কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার ডেভিড ক্রিসাফুল্লি “নতুন কোনো স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে না” – এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি সেই প্রতিশ্রুতি ভেঙে ভিক্টোরিয়া পার্কে একটি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন।
তাঁর এই সিদ্ধান্তের ফলে শুধু ব্রিসবেনবাসীই নয়, কুইন্সল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষও হতাশ হয়েছেন।
আগে, অলিম্পিক গেমস আয়োজনের জন্য গাব্বা স্টেডিয়াম সংস্কারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।
এরপরই ভিক্টোরিয়া পার্কে নতুন স্টেডিয়াম তৈরির প্রস্তাব আসে। তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে শহরের সবুজ এলাকা কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা পরিবেশ প্রেমীদের উদ্বেগের কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের ফলে স্থানীয় জনগণের উপর আর্থিক বোঝা বাড়বে। তাছাড়া, বিভিন্ন খেলার ভেন্যু নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক চলছে।
কিছু খেলা ব্রিসবেনের বাইরে অন্যান্য শহরে আয়োজন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর আপত্তির কারণ হয়েছে।
যেমন, আর্চারি, ফুটবল এবং রোয়িং-এর মতো খেলাগুলো ব্রিসবেনের বাইরে আয়োজন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, সাঁতারের মতো ইভেন্টগুলোর জন্য একটি বিশ্বমানের স্থায়ী ভেন্যু তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে স্থানীয় রাজনীতির প্রভাব নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রিমিয়ারের এই সিদ্ধান্ত সম্ভবত আঞ্চলিক ভোটারদের খুশি করার একটি কৌশল। কারণ, ব্রিসবেনে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করলে কুইন্সল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ ক্ষুব্ধ হতে পারে।
এখন দেখার বিষয়, ব্রিসবেনের মানুষ এই পরিকল্পনার প্রতি কতটা সমর্থন জানায়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান