মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি, ফাঁস হওয়া গোপন চ্যাট নিয়ে তোলপাড়!

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ-এর একটি ভুলের কারণে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিনি একটি সিগন্যাল চ্যাট গ্রুপে ভুল করে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করেছিলেন, যেখানে ইয়েমেনে সম্ভাব্য বিমান হামলা নিয়ে আলোচনা চলছিল।

এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেকে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (Tuesday) দেওয়া এক বিবৃতিতে ওয়াল্টজ জানান, এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার তিনি নিচ্ছেন।

তবে তিনি ঘটনার জন্য সরাসরি অন্যকে দায়ী না করে, এটিকে একটি ‘ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি আরও জানান, কিভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে তিনি প্রযুক্তিবিদদের সহায়তা নিচ্ছেন এবং এই বিষয়ে তিনি ইলন মাস্কের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

জানা গেছে, আটলান্টিক-এর প্রধান সম্পাদক জেফরি গোল্ডবার্গকে (Jeffrey Goldberg) ভুল করে এই গোপন চ্যাট গ্রুপে যুক্ত করা হয়েছিল।

এই গ্রুপে ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ছিলেন।

এই গ্রুপে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর সম্ভাব্য হামলার ‘অপারেশনাল ডিটেইলস’ নিয়ে আলোচনা চলছিল।

ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, কিভাবে গোল্ডবার্গের নম্বর গ্রুপে এলো, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।

তিনি সাংবাদিকদের ‘নিকৃষ্ট’ বলেও মন্তব্য করেন।

তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াল্টজের পক্ষ নিয়ে একে ‘ছোটখাটো ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট দলের নেতারা এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন।

তাদের মতে, এটি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের দুর্বলতা।

সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান মার্ক ওয়ার্নার বলেছেন, এই ঘটনা ‘অসাবধানতা, এবং অযোগ্যতার’ আরেকটি উদাহরণ।

গোল্ডবার্গ-কে গ্রুপে যুক্ত করার ঘটনাটিকে ‘গোয়েন্দা তথ্যের গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ডেমোক্রেট দলের প্রভাবশালী নেতা চাক শুমার।

ডেলওয়্যার থেকে নির্বাচিত সিনেটর ক্রিস কুনস-এর মতে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তি ‘একটি অপরাধ করেছেন, তা অনিচ্ছাকৃত হলেও’।

আলোচিত এই ঘটনার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় অনেকে এর ভবিষ্যৎ প্রভাব সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *