যুদ্ধ থামাতে কি গড়িমসি? ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য!

ট্রাম্পের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে ‘ধীর গতিতে’ এগোচ্ছে রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, রাশিয়া হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে চায়, তবে কাজটি তারা ধীরে ধীরে করছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজম্যাক্স-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমার মনে হয় রাশিয়া এই যুদ্ধ শেষ করতে চায়, তবে তারা হয়তো ধীরে কাজ করছে। অতীতে আমি নিজেও এমনটা করেছি।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই রাশিয়া জানায়, তারা কৃষ্ণ সাগরে শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তিটি তখনই মানবে, যখন তাদের ব্যাংক ও রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়া হবে। ইউক্রেনে আক্রমণের জেরে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো দেওয়া হয়েছিল।

সৌদি আরবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক দিন ধরে আলোচনার পর হোয়াইট হাউস জানায়, উভয় পক্ষ “নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করতে, শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করতে এবং বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে না দিতে” রাজি হয়েছে। এছাড়া, তারা জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধের বিষয়েও একমত হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইউক্রেন কৃষ্ণ সাগরে সামরিক শক্তি ব্যবহার করা বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। তবে ক্রেমলিন আলোচনার বিষয়ে তাদের বিবৃতি প্রকাশ করে, যেখানে আংশিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়।

তাদের শর্তগুলোর মধ্যে ছিল, রাশিয়ার কৃষি ব্যাংক এবং খাদ্য রপ্তানির সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম ‘সুইফট’-এ তাদের পুনরায় যুক্ত করা।

মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তার প্রশাসন রাশিয়ার শর্তগুলো খতিয়ে দেখছে। তিনি বলেন, “আমরা এখন তাদের সব শর্ত বিবেচনা করছি। সেখানে পাঁচ-ছয়টি শর্ত রয়েছে। আমরা সেগুলো দেখছি।”

ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, কৃষ্ণ সাগরে হামলা বন্ধের এই চুক্তিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। যদিও হোয়াইট হাউস শুরুতে ৩০ দিনের জন্য পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, যা এই চুক্তিতে পাওয়া যায়নি।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *