ওয়াল স্ট্রিটে কর্মীদের বোনাস অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় খবর। নিউ ইয়র্ক স্টেট কন্ট্রোলার টমাস পি. ডি-ন্যাপোলির অফিসের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর বোনাস বাবদ প্রায় ৪৭.৫ বিলিয়ন ডলার বিতরণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেশি।
গড়ে, একজন কর্মচারী প্রায় ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭০০ ডলার বোনাস পেয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩১.৫ শতাংশ বেশি।
এই বিশাল অংকের বোনাস প্রদানের পেছনে প্রধান কারণ হলো গত বছর ওয়াল স্ট্রিটের মুনাফা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়া। ডি-ন্যাপোলি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “রেকর্ড পরিমাণ বোনাস ওয়াল স্ট্রিটের শক্তিশালী পারফরম্যান্সের প্রতিফলন।
এই আর্থিক বাজারের উন্নতি নিউইয়র্কের অর্থনীতি এবং আমাদের রাজস্বের জন্য একটি ভালো খবর।”
যদি আমরা মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনা করি, তাহলে ২০০৬ সালের বোনাস এখনও সবচেয়ে বেশি ছিল।
সে বছর বোনাস হিসেবে প্রায় ৩৪.৩ বিলিয়ন ডলার বিতরণ করা হয়েছিল, যা আজকের বাজারে প্রায় ৩০৭,০০০ ডলারের সমান।
এই বিপুল পরিমাণ বোনাস যুক্তরাষ্ট্রের গড় পরিবারের আয়ের চেয়ে অনেক বেশি।
উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবারগুলোর গড় আয় ছিল প্রায় ৮০,৬১০ ডলার।
ওয়াল স্ট্রিটের এই সাফল্যের ফলে নিউইয়র্ক রাজ্যের অর্থনীতিও লাভবান হচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিট নিউইয়র্ক রাজ্যের মোট করের ১৯ শতাংশ এবং নিউইয়র্ক সিটির মোট করের ৭ শতাংশ সরবরাহ করে।
শুধু বোনাস থেকেই রাজ্য অতিরিক্ত ৬০০ মিলিয়ন ডলার এবং সিটি প্রায় ২৭৫ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে, ভবিষ্যতের জন্য কিছুটা অনিশ্চয়তাও রয়েছে।
ডি-ন্যাপোলি উল্লেখ করেছেন, ফেডারেল নীতিতে পরিবর্তনের কারণে ২০২৫ সালে আর্থিক বাজারে কিছুটা মন্দা দেখা যেতে পারে।
যদিও তিনি নির্দিষ্ট করে কোনো নীতির কথা উল্লেখ করেননি, তবে বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত।
ওয়াল স্ট্রিটের এই বোনাস বৃদ্ধির ঘটনা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সরাসরি প্রভাব না ফেললেও, বৈশ্বিক অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি বুঝতে এটি সহায়ক।
উন্নত বিশ্বে অর্থনীতির এই ধরনের উত্থান-পতন কিভাবে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের দেশের অর্থনীতির উন্নতিতেও বিভিন্ন নীতি ও সিদ্ধান্তের সঠিক পর্যালোচনা প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন