যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র গরমের ঝুঁকি বাড়ছে, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কয়েক কোটি মানুষ – আবহাওয়ার পূর্বাভাস।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বাড়ছে তীব্র গরমের দাপট। এর ফলে জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, ঘটছে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (National Weather Service – NWS) এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (Centers for Disease Control and Prevention – CDC) -এর তথ্য বিশ্লেষণ করে সিএনএন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এই প্রতিবেদনে গরমের সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গরমের তীব্রতা, এর স্থায়িত্ব এবং অতীতেরdata বিশ্লেষণ করে একটি পূর্বাভাস তৈরি করা হয়েছে।
এই পূর্বাভাসে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। গত বছর গ্রীষ্মকালে, প্রায় ৬ কোটির বেশি মার্কিন নাগরিক তীব্র গরমের সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ছিলেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে হিটওয়েভ বা গরমের ঢেউ এখন অনেক বেশি সাধারণ ঘটনা।
এছাড়া, গরমের এই তীব্রতা বাড়ছে এবং তা দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হচ্ছে। রাতের বেলাতেও তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে না, যা মানুষের স্বস্তি এনে দেয় না।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চলের সম্ভাব্য তাপমাত্রা এবং রেকর্ড ভাঙার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কোন কোন অঞ্চলে তাপমাত্রা নতুন রেকর্ড গড়তে পারে, সে সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, আগামী কয়েক সপ্তাহের গড় তাপমাত্রা কেমন থাকতে পারে, সে সম্পর্কেও পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম হতে পারে।
এই বিষয়ক পূর্বাভাসগুলোতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকার সম্ভাবনাও উল্লেখ করা হয়।
সাধারণত, এই পূর্বাভাসগুলো সঠিক হয় এবং অনেক সময় দৈনিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ভেঙে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিস্থিতি জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বড় উদাহরণ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে।
আমাদের দেশেও গ্রীষ্মকালে গরমের তীব্রতা বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগের কারণ।
ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের আরও সচেতন হতে হবে এবং প্রস্তুতি নিতে হবে।
তথ্য সূত্র: CNN