মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভেন্স গ্রিনল্যান্ডে তার স্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যাচ্ছেন, কিন্তু সফরের পরিকল্পনা অনেক বদলে গেছে। প্রথমে গ্রিনল্যান্ডের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার কথা থাকলেও, এখন সবকিছু সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ডের উপর “অগ্রহণযোগ্য চাপ” সৃষ্টি করছে।
আসলে, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্স এবং তার স্ত্রী উশা ভেন্স এখন শুধুমাত্র গ্রিনল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি, পিটুফিক স্পেস বেস পরিদর্শনে যাবেন।
গ্রিনল্যান্ডের সংস্কৃতি বিষয়ক কোনো অনুষ্ঠানে তাদের যোগ দেওয়ার কথা এখন আর নেই।
গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, এবং অতীতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই দ্বীপটির প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিল।
তবে, গ্রিনল্যান্ডের বর্তমান সরকার এই সফরকে “উচ্চাভিলাষী” বলে মনে করছে।
এমনকি গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে বি. এগেদে জানিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে কোনো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
গ্রিনল্যান্ডে সম্প্রতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং নতুন সরকার গঠনের জন্য আলোচনা চলছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫১ সাল থেকে একটি সামরিক চুক্তির অধীনে পিটুফিক ঘাঁটি পরিচালনা করছে, যা ন্যাটোর কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত।
ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্স এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন গ্রিনল্যান্ডের জনগণের নিরাপত্তা “পুনরুজ্জীবিত” করতে চায়।
তিনি ডেনমার্ক এবং অতীতের মার্কিন প্রেসিডেন্টদেরও এই দ্বীপটিকে “দীর্ঘকাল ধরে উপেক্ষা করার” জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লøে র্যাসমুসেন এই পরিবর্তিত পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, আমেরিকানরা গ্রিনল্যান্ডের সমাজের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব ঘাঁটি, পিটুফিকে তাদের সফর সীমাবদ্ধ রাখছে, এটি খুবই ইতিবাচক।
এই ঘটনার মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
একইসাথে, গ্রিনল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ডেনমার্কের সাথে তাদের সম্পর্কও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন