আতঙ্কের ঢেউ! শীর্ষ ৫ কর্মকর্তার পদত্যাগে কি তবে ভেঙে পড়ছে রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র?

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রে (সিডিসি) বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। সংস্থাটির শীর্ষ পর্যায়ের পাঁচজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।

এদের মধ্যে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানও রয়েছেন। সম্প্রতি আরও তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন, ফলে সিডিসির ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।

আটলান্টা ভিত্তিক এই সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করে থাকে। জানা গেছে, পদত্যাগ করা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন পাবলিক হেলথ ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেন্টারের প্রধান লেসলি অ্যান ডফিন, ন্যাশনাল সেন্টার অন বার্থ ডিफेक्टস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅ্যাবিলিটিজের প্রধান ড. কারেন রেমলি, বিজ্ঞান বিষয়ক অফিসের প্রধান স্যাম পসনার, নীতি, কর্মক্ষমতা ও মূল্যায়ন অফিসের প্রধান ডেবরা লুবর এবং স্বাস্থ্য সমতা বিষয়ক অফিসের প্রধান লিন্ড্রিস লিবর্ড।

এছাড়া, যোগাযোগ বিভাগের প্রধান কেভিন গ্রিফিস এবং চিফ অপারেটিং অফিসার রবিন বেইলিও পদত্যাগ করেছেন। সম্প্রতি সংস্থাটির সাবেক প্রধান উপ-পরিচালক ড. নিরাভ শাহও পদত্যাগ করেছেন।

কর্মকর্তাদের এই আকস্মিক প্রস্থান এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন সিডিসির কর্মী ছাঁটাই এবং সংস্থা পুনর্গঠনের একটি প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও এই পরিবর্তনের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে অনেকে মনে করছেন, সরকারের পক্ষ থেকে জনবল কমানোর সিদ্ধান্তের কারণে কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

এছাড়া, নতুন পরিচালক নিয়োগ নিয়েও আলোচনা চলছে, তবে এই পরিবর্তনের সাথে এর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

সিডিসি’র বার্ষিক বাজেট ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সংস্থাটিতে ১৩ হাজারের বেশি স্থায়ী কর্মী এবং প্রায় ১৩ হাজার ঠিকাদার কর্মী কাজ করেন।

রোগের প্রাদুর্ভাব এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অন্যান্য হুমকি থেকে আমেরিকানদের রক্ষা করাই সিডিসির প্রধান দায়িত্ব।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের এই ধরনের বিদায় সংস্থাটির জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা। কারণ, এর ফলে সিডিসির কার্যক্রমের ওপর প্রভাব পড়তে পারে এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে সমস্যা হতে পারে।

স্বাস্থ্যখাতে কর্মরত অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সিডিসির এই পরিবর্তন বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়। কারণ, এর ফলে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা ও কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *