বিখ্যাত কমেডিয়ান অ্যান্ডি কফম্যান, যিনি হাসির মোড়কে দর্শকদের মনে গভীর প্রশ্ন জাগিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর জীবন ও কাজ নিয়ে সম্প্রতি একটি নতুন তথ্যচিত্র মুক্তি পেয়েছে।
“থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ” নামের এই ছবিতে কফম্যানের বিচিত্র জগৎকে তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শকদের পরিচিত ধারণাকে ভেঙে দিতে বাধ্য করে। কফম্যানের কৌতুক ছিল চিরাচরিতের থেকে ভিন্ন, যেখানে বাস্তব আর কল্পনার সীমানা প্রায় মিশে যেত।
অ্যান্ডি কফম্যান ছিলেন একজন শিল্পী যিনি কমেডিকে নতুন রূপ দিয়েছিলেন। তিনি শুধু হাসানোর জন্য মঞ্চে আসতেন না, বরং দর্শকদের ভাবনাকে নাড়া দিতেন।
‘ফরেইন ম্যান’-এর মতো চরিত্রে তিনি দর্শকদের হাসিয়েছেন, আবার ‘টনি ক্লিফটন’-এর মতো চরিত্রে তিনি তৈরি করেছেন বিতর্ক। তাঁর সৃষ্টি করা ‘ল্যাটকা গ্রাভাস’ চরিত্রটি ছিল খুবই জনপ্রিয়, যা ‘ট্যাক্সি’ (Taxi) নামক টিভি শো-এর মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করে।
কফম্যানের কাজগুলি এতটাই অভিনব ছিল যে, অনেকে বিশ্বাস করতে পারেননি যে তিনি মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরেও, তাঁর কাজগুলি নিয়ে আলোচনা আজও চলে।
“থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ” তথ্যচিত্রে কফম্যানের জীবন এবং কাজের গভীরতা তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে তাঁর বহু পুরনো ক্লিপিংস ব্যবহার করা হয়েছে, যা দর্শকদের কফম্যানের অনন্যতা উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।
এই তথ্যচিত্রটি কফম্যানের কমেডিকে ভালোভাবে বুঝতে সহায়ক।
কফম্যানের কাজের একটি বিশেষ দিক ছিল, তিনি দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি করতেন। তিনি প্রায়ই এমন সব কাজ করতেন যা দর্শকদের মনে দ্বিধা তৈরি করত—আসলে কি ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন জাগাতেন।
তাঁর এই কৌশল অনেক আধুনিক কমেডিয়ানের ওপর প্রভাব ফেলেছে। উদাহরণস্বরূপ, কমেডিয়ান জো রোগানের কথা বলা যায়, যিনি তাঁর দর্শকদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ তৈরি করেন।
অ্যান্ডি কফম্যান তাঁর কাজের মাধ্যমে দর্শকদের শিখিয়েছিলেন, “যা তুমি জানো না, তাকে ভয় পেও না।” এই কথাটি যেন তাঁর জীবনের মূল মন্ত্র ছিল।
তিনি সব সময় নতুন কিছু চেষ্টা করতে উৎসাহিত করতেন এবং দর্শকদের প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে ভাবতে অনুপ্রাণিত করতেন। কফম্যানের এই সাহস এবং নতুনত্বই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
“থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ” তথ্যচিত্রটি কফম্যানের এই অসাধারণ জীবন ও কাজের প্রতিচ্ছবি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান