বর্ষাকালে বাংলাদেশের নদী-নালা, খাল-বিলে নৌকার ভ্রমণের মজাই আলাদা। যারা একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা ভালোবাসেন, তাদের জন্য কায়াকিং একটি দারুণ বিকল্প হতে পারে।
কায়াকিং হলো ছোট নৌকায় প্যাডেল ব্যবহার করে জলপথে ভ্রমণের একটি পদ্ধতি। তবে, কায়াকিংয়ের আনন্দ উপভোগ করতে হলে কিছু জরুরি সরঞ্জাম সাথে রাখা প্রয়োজন।
আজকের লেখায় আমরা সেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
প্রথমেই আসা যাক, নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু সরঞ্জামের কথায়। কায়াকিংয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি ভালো লাইফ জ্যাকেট বা জীবনদায়ী ভেস্ট।
সাঁতার কাটার পর্যাপ্ত দক্ষতা না থাকলে বা আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে এটি আপনার জীবন রক্ষায় সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে হেলমেট ব্যবহার করা যেতে পারে, বিশেষ করে পাথুরে বা দ্রুতগতির নদীতে কায়াকিং করার সময়।
এরপর আসে পোশাকের বিষয়। কায়াকিং করার সময় দ্রুত শুকিয়ে যায় এমন পোশাক পরা উচিত। ভেজা পোশাক পরে থাকলে ঠান্ডা লাগতে পারে।
গরমকালে কায়াকিং করলে রোদ থেকে বাঁচতে সানগ্লাস ও টুপি নেওয়া অপরিহার্য। এছাড়া, নৌকায় ওঠার সময় পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই অ্যান্টি-স্লিপ স্যান্ডেল বা জলরোধী জুতো ব্যবহার করা ভালো।
কায়াকিংয়ের সময় আপনার দরকারি জিনিস, যেমন – মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং খাবার-দাবার নিরাপদে রাখার জন্য জলরোধী ব্যাগ বা ড্রাই ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত।
বাজারে বিভিন্ন আকারের ড্রাই ব্যাগ পাওয়া যায়, যা আপনার জিনিসপত্রকে জল থেকে বাঁচায়।
প্যাডেল বা বৈঠা কায়াকিংয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্যাডেলের আকার আপনার উচ্চতা এবং নৌকার ধরনের উপর নির্ভর করে।
আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য হালকা ও সহজে ব্যবহারযোগ্য প্যাডেল বেছে নেওয়া ভালো।
কায়াকিংয়ের সময় সূর্যের তেজ থেকে বাঁচতে ভালো মানের সানগ্লাস ব্যবহার করা জরুরি। বাজারে পোলারাইজড লেন্সযুক্ত সানগ্লাস পাওয়া যায়, যা জলের উপরিভাগের প্রতিফলন কমিয়ে দেয় এবং জলের নিচের জিনিস দেখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য একটি কুলার বা বহনযোগ্য জলের পাত্র সাথে রাখা যেতে পারে, যা আপনার পানীয় ও খাবার ঠান্ডা রাখতে কাজে লাগবে।
কায়াকিং একটি মজাদার এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হতে পারে। তবে, সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সঠিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা অপরিহার্য।
নোট: বাজারে উল্লিখিত কিছু ব্র্যান্ডের পণ্য বাংলাদেশে সবসময় নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই, কেনার আগে স্থানীয় বাজারে উপলব্ধ বিকল্পগুলি যাচাই করে নেওয়া ভালো।
তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
