মায়ামি ওপেনে এমা রাডুকানু: কোয়ার্টার ফাইনালে অভিজ্ঞ পেগুলার কাছে হার।
বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় জেসিকা পেগুলার বিপক্ষে প্রায় আড়াই ঘণ্টা লড়াইয়ের পর মায়ামি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেন ব্রিটিশ টেনিস তারকা এমা রাডুকানু। বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত খেলায়, অভিজ্ঞ প্রতিপক্ষের কাছে ৬-৪, ৬-৭(৩), ৬-২ সেটে হার মানতে হয় তাকে।
তবে, এই টুর্নামেন্টে রাডুকানুর পারফরম্যান্স ছিল প্রশংসনীয়।
ম্যাচের শুরুটা ছিল পেগুলার দাপটে। প্রথম সেট তিনি ৬-৪ গেমে জিতে নেন। অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিয়ে আগ্রাসী কৌশল এবং শক্তিশালী গ্রাউন্ডস্ট্রোকের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন তিনি।
দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান রাডুকানু। দারুণ লড়াইয়ের পর টাইব্রেকারে জিতে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার কাছে হার মানতে হয় তাকে।
শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেননি তিনি।
এই টুর্নামেন্টে রাডুকানুর যাত্রাটা ছিল বেশ আশা জাগানো। বিশেষ করে, ইউএস ওপেন জয়ের পর এটাই তার সেরা পারফরম্যান্স। এমনকি শীর্ষ ১০ খেলোয়াড়ের একজন এমা নাভারোকে তিনি পরাজিত করেন।
দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষ ১০ খেলোয়াড়ের মধ্যে থাকা পেগুলার বিপক্ষে লড়াইটা সহজ ছিল না।
অন্যদিকে, টুর্নামেন্টের অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে, র্যাঙ্কিংয়ের ১৪০ নম্বরে থাকা ১৯ বছর বয়সী আলেক্সান্দ্রা ইয়ালা, ইগা সোয়াটেককে পরাজিত করে বড় অঘটন ঘটিয়েছেন।
ফিলিপাইনের এই তরুণী প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ডব্লিউটিএ (WTA) টুর্নামেন্টের শীর্ষ পর্যায়ে এসেছেন।
রাডুকানুর এই পরাজয় সত্ত্বেও, তার ভবিষ্যতের জন্য এই টুর্নামেন্টটি অনেক ইতিবাচক দিক নিয়ে এসেছে। কারণ, দীর্ঘদিন পর তার খেলায় আত্মবিশ্বাসের ছাপ দেখা গেছে।
নিজের সেরাটা কিভাবে দিতে হয়, তা তিনি ধীরে ধীরে বুঝতে পারছেন। তবে, এখন তার প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে, প্রতিটি টুর্নামেন্টে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।