মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডের স্পিগেল-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গাবার্ডের মোবাইল নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং কিছু ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড অনলাইনে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ডেটা অনুসন্ধান পরিষেবা এবং ফাঁস হওয়া তথ্যের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই কর্মকর্তাদের তথ্য মূলত তাদের সিগন্যাল গ্রুপ চ্যাট ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত। এই চ্যাট গ্রুপে তারা ইয়েমেনে সম্ভাব্য বিমান হামলা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
জানা গেছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ আরও অনেকে এই গ্রুপে ছিলেন। এই গোপন আলোচনার সময় সংবেদনশীল তথ্য আদান-প্রদান হওয়ার কারণে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ডের স্পিগেল-এর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হেগসেথের মোবাইল নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা খুঁজে বের করা তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল। এমনকি তাঁর ইমেইল ঠিকানার সাথে যুক্ত পাসওয়ার্ডও বিভিন্ন ডেটা ফাঁসের মাধ্যমে পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ইমেইল ঠিকানাটি কয়েক দিন আগেও ব্যবহার করা হয়েছে। হেগসেথের মোবাইল নম্বরটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিল, যা তিনি সম্প্রতি মুছে দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, গাবার্ড এবং ওয়ালজের নম্বরগুলো হোয়াটসঅ্যাপ ও সিগন্যালের মতো মেসেজিং সার্ভিসের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
এর ফলে তাদের ডিভাইসে স্পাইওয়্যার (গুপ্তচরবৃত্তি সফটওয়্যার) ইনস্টল করার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, এমনকি বিদেশি এজেন্টরাও গত ১৫ই মার্চ ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর সম্ভাব্য মার্কিন বিমান হামলার পরিকল্পনা সংক্রান্ত গোপন সিগন্যাল গ্রুপ চ্যাট-এর ওপর নজরদারি করতে পারে।
এই ঘটনার পর নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা অনলাইনে তথ্যের সুরক্ষার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাদের মতে, সংবেদনশীল তথ্য আদান-প্রদানের জন্য মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল জানিয়েছে, ওয়ালজের ব্যবহৃত অ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ডগুলো ২০১৯ সালে পরিবর্তন করা হয়েছিল।
তথ্য সূত্র: ডের স্পিগেল