ফুটবল ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে নারী ফুটবলে দুঃসংবাদ!

ইংল্যান্ডের মহিলা ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে গৃহীত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) তাদের নারী ফুটবল কাঠামোর তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ স্তরের লিগগুলো সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বাতিল করেছে।

সম্প্রতি এক ঘোষণায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, এফএ মূলত ২০২৩-২৭ মৌসুম থেকে উইমেন’স সুপার লিগ (ডব্লিউএসএল) দলগুলোর ‘বি’ দলগুলোকে চতুর্থ স্তরের লিগে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিল। এর পাশাপাশি লিগগুলোর উন্নতি ও অবনমনের কাঠামোর বড় ধরনের পরিবর্তন আনারও প্রস্তাব ছিল।

কিন্তু বিভিন্ন ক্লাব, খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর এফএ এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।

ফেব্রুয়ারি মাসে, এফএ ক্লাবগুলোর কাছে একটি বিস্তারিত প্রস্তাব পেশ করেছিল। এই প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে ১৪৪টি ক্লাবের মধ্যে আলোচনা হয়, যার মধ্যে ৫৫ শতাংশ প্রস্তাবের পক্ষে মত দেয়।

তবে, বৃহত্তর পরিসরে পাওয়া মতামতের ভিত্তিতে এফএ মনে করে, লিগগুলোর ভবিষ্যতের জন্য সঠিক সমাধান খুঁজে বের করতে আরও সময় প্রয়োজন।

মূলত, অনূর্ধ্ব-১৯ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ তৈরি করাই ছিল এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য।

এই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে, তৃতীয় ও চতুর্থ বিভাগের দল সংখ্যা ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৪ করার পরিকল্পনা ছিল। এছাড়া, অবনমনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসার কথা ছিল।

প্রতিটি তৃতীয় বিভাগ থেকে দুটি দলের পরিবর্তে তিনটি দল চতুর্থ বিভাগে নেমে আসত। চতুর্থ বিভাগের শীর্ষ চারটি দল সরাসরি উপরের বিভাগে খেলার সুযোগ পেত এবং রানার্স-আপ দল প্লে-অফের মাধ্যমে আরও দুটি জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই করত।

ষষ্ঠ বিভাগে ১৬টি বিভাগ থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ে দল বাড়িয়ে ২৪টি করারও পরিকল্পনা ছিল।

বর্তমানে বিদ্যমান কাঠামো অনুযায়ী, লিগগুলোতে একটি দল উপরে ওঠে এবং একটি দল নিচে নেমে আসে।

তবে, এফএ জানিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে লিগগুলোর কাঠামো কেমন হবে, সে বিষয়ে পর্যালোচনা চালিয়ে যাবে।

এফএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খেলোয়াড়, ক্লাব ও সমর্থকদের কথা মাথায় রেখে তারা কাজ চালিয়ে যাবে, যাতে তরুণ প্রতিভারা তাদের বিকাশের উপযুক্ত সুযোগ পায়।

মহিলা ফুটবলের উন্নয়নে এমন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।

যদিও সরাসরি বাংলাদেশের ফুটবলে এর প্রভাব নেই, তবে বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলের উন্নতিতে এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

বিভিন্ন দেশের ফুটবল ফেডারেশনগুলোও তাদের লিগ কাঠামোর উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে পারে এবং তরুণ খেলোয়াড়দের বিকাশে আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারে।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *