টেনিস তারকা ইগা শিয়াওটেক, যিনি বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন, সম্প্রতি মিয়ামি ওপেনে এক দর্শকের কাছ থেকে ‘হুমকি’ ও ‘ঘৃণাসূচক’ মন্তব্য পাওয়ার পর অতিরিক্ত নিরাপত্তা গ্রহণ করেছেন। টুর্নামেন্টের আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা তাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়।
জানা গেছে, এই ঘটনার পরেই টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং শিয়াওটেকের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছে। ঘটনার বিস্তারিত জানাতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যাগুলো নজরে রাখে।
খেলাধুলার জগতে গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানানো হলেও, হুমকি, ঘৃণা অথবা অনুশীলনে ব্যাঘাত কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।
এই ঘটনার কয়েকদিন আগে, দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রিটেনের এমা রাডুকানুর প্রতি ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের’ কারণে এক ব্যক্তিকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। মহিলা টেনিসের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডব্লিউটিএ (WTA) জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তারা টুর্নামেন্টগুলির নিরাপত্তা দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টগুলিতে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়।
এদিকে, মিয়ামি ওপেনে কোয়ার্টার ফাইনালে ফিলিপাইনের খেলোয়াড় আলেকজান্দ্রা ইয়ালার কাছে হেরে যান পোল্যান্ডের ইগা শিয়াওটেক। ইয়ালা ৬-২, ৭-৫ গেমে জয়লাভ করে সেমিফাইনালে পৌঁছেছেন।
উল্লেখ্য, ইয়ালা এই টুর্নামেন্টে ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে খেলতে নেমে তিনজন গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়নকে হারিয়েছেন।
অন্যদিকে, গত নভেম্বরে ইগা শিয়াওটেকের ডোপিং বিতর্কের একটি বিষয় সামনে আসে। তিনি হৃদরোগের ওষুধ ট্রাইমেটাজাইডিন সেবন করেছিলেন, যা তার শরীরে ধরা পড়ে।
যদিও এই ওষুধটি অনিচ্ছাকৃতভাবে তার শরীরে প্রবেশ করেছিল বলে জানা যায়। ঘুমের সমস্যা ও জেট ল্যাগের কারণে তিনি যে ওষুধ সেবন করতেন, সেটিতে মিশ্রণ ছিল এই নিষিদ্ধ উপাদান। এর ফলস্বরূপ, তাকে কিছুদিনের জন্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়েছিল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন
