পোশাকের নতুনত্বে পুরোনো স্টাইল: খরচ ছাড়াই সাজুন, থাকুন ফ্যাশনে
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পোশাকের স্টাইলও বদলায়। নতুন পোশাক কেনার প্রবণতা বাড়ে, কিন্তু সবসময় তা সম্ভব হয় না। বরং, আপনার আলমারিতে থাকা পোশাকগুলো দিয়েই নতুন রূপে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়।
কিভাবে? আসুন, কিছু সহজ উপায়ে পুরোনো পোশাককে নতুন করে পরার কৌশল জেনে নিই।
পোশাকের হিসাব-নিকাশ:
প্রথমেই আপনার আলমারিটা ভালোভাবে গুছিয়ে নিন। অনেক পোশাক থাকলে মাঝে মাঝে কোনটা পরবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়। সবসময় তো আর সব পোশাক পরা হয় না।
তাই, যে পোশাকগুলো এক বছরের বেশি সময় ধরে পরা হয়নি, সেগুলো সরিয়ে ফেলুন। হয়তো সেগুলো এখন আপনার প্রয়োজন নেই। পুরনো পোশাক দান করে দিন অথবা বিক্রি করে দিন।
এতে আপনার আলমারি যেমন গোছানো থাকবে, তেমনি পোশাক বাছাইয়ের মানসিক চাপও কমবে।
ঋতু পরিবর্তনের উদযাপন:
ঋতু পরিবর্তনের সময় পোশাকের ধরনও বদলায়। এই সময়ে সিজন অনুযায়ী পোশাকগুলো আলাদা করে গুছিয়ে রাখা ভালো। পুরনো পোশাকগুলো আবার তুলে আনার আগে, সেগুলোর অবস্থা দেখে নিন।
কোনো বোতাম ছেঁড়া থাকলে সেলাই করে নিন, ইস্ত্রি করে নিন।
পোশাক ধরে রাখার কৌশল:
যদি কোনো পোশাক এক বছর পরেও পরা না হয়, তবে সেটা অন্যকে দিয়ে দিন। কাপড় রাখার সময় হ্যাঙ্গার উল্টে দিন। কোনো পোশাক পরলে, হ্যাঙ্গার সোজা করে রাখুন।
এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোন পোশাকগুলো পরা হচ্ছে আর কোনগুলো নয়।
প্রিয় পোশাকগুলো:
আপনার পছন্দের পোশাকগুলো বেছে নিন। যে পোশাকগুলো পরলে আপনি আত্মবিশ্বাসী অনুভব করেন, যে পোশাকগুলো পরলে সবাই প্রশংসা করে, সেগুলো নিয়মিত পরুন।
নতুনত্বের ছোঁয়া:
পুরোনো পোশাকগুলো নতুনভাবে পরার চেষ্টা করুন। একটি স্কার্ট অথবা একটি জ্যাকেট অন্য কোনো পোশাকের সাথে মিশিয়ে পরুন। এতে আপনার পোশাকে নতুনত্ব আসবে।
ব্যক্তিত্ব যোগ করুন:
আপনার সাধারণ পোশাকের সঙ্গে ব্যক্তিত্ব যোগ করতে পারেন। যেমন, একটি সাধারণ ব্লেজারের সাথে অন্যরকম একটি স্কার্ফ বা অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার করতে পারেন।
ভুল জুতা:
পোশাকের সাথে “ভুল জুতা” পরার স্টাইল এখন বেশ জনপ্রিয়। একটি সুন্দর পোশাকের সাথে ক্যাজুয়াল স্নিকার্স পরলে, তা একদিকে যেমন আরামদায়ক হয়, তেমনি স্টাইলিশও লাগে।
একই পোশাক বারবার:
প্রিয় পোশাক বারবার পরতে কোনো দ্বিধা নেই। আপনি যদি কোনো পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তবে সেটি আত্মবিশ্বাসের সাথে পরুন।
নিজেকে তৈরি করুন:
পুরুষদের জন্য, রঙিন মোজা পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া, ব্লেজার এবং টাইয়ের মতো পোশাক ব্যবহার করে স্মার্ট লুক তৈরি করা যেতে পারে।
অন্যের পরামর্শ:
নিজের পোশাক সম্পর্কে অন্যদের মতামত নিন। বন্ধু বা পরিচিত কারো সাহায্য নিতে পারেন। তারা হয়তো আপনার পোশাকের নতুন দিক খুঁজে বের করতে সাহায্য করতে পারবে।
পোশাকের যত্ন:
আপনার পোশাকের যত্ন নিন। ধোলাইয়ের নিয়মাবলী অনুসরণ করুন, এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদা করে ধুয়ে নিন। পোশাক ভাঁজ করে রাখুন, ঝুলিয়ে রাখবেন না।
মেরামত ও পরিবর্তন:
পোশাকের ছোটখাটো সমস্যাগুলো, যেমন—ছেঁড়া বা ফোঁটা—দ্রুত সারিয়ে ফেলুন। আপনার পোশাক যদি ফিটিংয়ে ঠিক না থাকে, তবে দর্জিকে দিয়ে ঠিক করিয়ে নিন।
অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার:
অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার করে আপনার পোশাককে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। যেমন—বেল্ট, স্কার্ফ, বা ঘড়ি ব্যবহার করুন।
নিজের স্টাইল:
নিজের স্টাইল সম্পর্কে তিনটি শব্দ নির্বাচন করুন। যেমন— “ক্লাসিক”, “আরামদায়ক” এবং “রঙিন”। এই শব্দগুলো আপনার পোশাক বাছাই করতে সাহায্য করবে।
স্টাইল পরিবর্তন:
ফ্যাশন সবসময় পরিবর্তন হয়। আপনার শারীরিক গড়ন ও জীবনযাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পোশাক নির্বাচন করুন।
বিনিময় বা ভাড়া:
পোশাক ভাড়ার পরিবর্তে বন্ধুদের সাথে পোশাক অদল-বদল করতে পারেন। এতে আপনার পোশাকের সংগ্রহে বৈচিত্র্য আসবে।
এসব সহজ উপায় অনুসরণ করে, আপনি খুব সহজেই আপনার পোশাকের স্টাইল পরিবর্তন করতে পারেন এবং ফ্যাশনেবল থাকতে পারেন।
তথ্য সূত্র: The Guardian