ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা আরও জোরদার করতে এবং শান্তি আলোচনাকে এগিয়ে নিতে প্যারিসে জোটবদ্ধ হয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রায় ৩০টি দেশের প্রতিনিধি এবং ন্যাটোর শীর্ষ কর্মকর্তারা এই বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠকে ইউক্রেনে সম্ভাব্য শান্তিরক্ষার জন্য ইউরোপীয় সেনা মোতায়েন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করার বিষয়ে আলোচনা ছিল বৈঠকের মূল বিষয়।
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো এবং দেশটির সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোই এই বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ঘোষণা করেছেন, ইউক্রেনকে ২ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার সমান।
এই সহায়তার মধ্যে হালকা ট্যাংক, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বৈঠকে শান্তিরক্ষার জন্য ইউরোপীয় সেনা পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে গিয়ে জানা যায়, রাশিয়া যদি শান্তি চুক্তি লঙ্ঘন করে তাহলে কীভাবে এর মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
তবে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ব্রিটেনের পক্ষ থেকে ১০ থেকে ৩০ হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৈঠকের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেন ম্যাক্রঁ। জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া প্রতিদিন হামলা চালাচ্ছে, যা যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে।
তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে। খারকিভ অঞ্চলে ১৮ জন এবং