মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানের পরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে। সম্প্রতি, ‘দ্য আটলান্টিক’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপের মতো একটি সুরক্ষিত মেসেজিং অ্যাপ ‘সিগন্যাল’-এ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি গোপন চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
আলোচিত চ্যাট গ্রুপে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (সাবেক) পেট হেগসেথ, ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ, হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সুসি উইলস, এবং আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমেই আক্রমণের বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
ফাঁস হওয়া বার্তাগুলোতে হামলার সময় এবং লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। একটি বার্তায়, সম্ভবত হেগসেথ নামের এক ব্যবহারকারী জানান, ‘প্রথম লক্ষ্যবস্তু, অর্থাৎ তাদের শীর্ষ ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ’-কে চিহ্নিত করা গেছে।
পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি তার প্রেমিকার বাড়িতে প্রবেশ করার পরেই হামলা চালানো হয় এবং বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায়।
আলোচনাগুলোতে আক্রমণের প্রস্তুতি এবং আক্রমণের পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানা যায়। কর্মকর্তাদের মধ্যে আক্রমণের সফলতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং একে ‘ভালো শুরু’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, হামলার আগে এবং পরে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন—মার্কো রুবিও, স্টিফেন মিলার, এবং তুলসী গাবার্ড।
এই ঘটনার মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসনের গোপনীয়তা এবং সামরিক সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের গোপন তথ্য ফাঁস ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
ইয়েমেনে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে, এই তথ্য প্রকাশ সেখানকার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা