কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিমান যাত্রী পরিবহন প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের ফলস্বরূপ বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিমান চলাচল বিষয়ক সংস্থা ওএজি’র (OAG) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচলের ধারণক্ষমতা হ্রাস করা হয়েছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মের পিক সিজনে, অর্থাৎ জুলাই ও আগস্ট মাসে এই কাটছাঁট সবচেয়ে বেশি হয়েছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রী বুকিংয়ের সংখ্যা ৭০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে টিকিট বুকিংয়ের হিসাব করে ওএজি।
সংস্থাটি দেখেছে যে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সীমান্ত পারাপারের টিকিট বুকিংয়ের সংখ্যা ৭১ থেকে ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি সম্ভবত কানাডার ভ্রমণকারীদের মধ্যে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও শুল্ক যুদ্ধের কারণে তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এটিকে কানাডার শ্রমিকদের ওপর ‘সরাসরি আঘাত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বিমান সংস্থাগুলি, বিশেষ করে এয়ার কানাডার মতো বড় কোম্পানিগুলির জন্য এই পরিস্থিতি বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। কারণ, প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে তাদের সীমান্ত অতিক্রমের নেটওয়ার্ক বেশ বড়।
বাণিজ্য বিরোধ ছাড়াও, অনেক কানাডিয়ান মনে করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা তাদের জন্য আগের চেয়ে কঠিন হয়ে পড়েছে। এর কারণ হিসেবে তারা সম্প্রতি বিদেশি পর্যটকদের আটকের কিছু ঘটনার উল্লেখ করেছেন।
বর্তমানে, দুই দেশের মধ্যে চলাচলকারী বিমানের যাত্রী ধারণক্ষমতাও হ্রাস করা হয়েছে। এর মূল কারণ সম্ভবত যাত্রী চাহিদার অভাব।
তথ্য বলছে, অক্টোবর মাস পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে চলাচলকারী বিমানগুলি ৩ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি আসন কমিয়েছে, যার মধ্যে গ্রীষ্মের মাসগুলিতে কাটছাঁট ছিল সর্বোচ্চ ৩.৫ শতাংশ। তবে, টিকিট বুকিংয়ের এই ব্যাপক হ্রাস ইঙ্গিত করে যে, যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে চাহিদা হ্রাসের বিষয়টি মোকাবিলায় বর্তমানের ধারণক্ষমতা হ্রাসের পদক্ষেপগুলো যথেষ্ট নয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান