ইসরায়েলের পার্লামেন্ট সম্প্রতি একটি বিতর্কিত আইন পাস করেছে, যা দেশটির বিচার বিভাগে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। নতুন এই আইনের ফলে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের প্রভাব আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে।
বিরোধী দলগুলো মনে করে, এই আইনের মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করা হবে এবং গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়বে।
নতুন আইন অনুযায়ী, বিচারক নিয়োগের জন্য গঠিত কমিটিতে রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। বর্তমানে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারক নিয়োগের জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে, যেখানে বিচারক, আইনপ্রণেতা এবং বিচার মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে থাকা ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত থাকেন। নতুন আইনে এই কমিটিতে রাজনৈতিক প্রভাব আরও বাড়ানো হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আইনটি বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনবে। তবে, সমালোচকরা বলছেন, এর ফলে বিচার বিভাগ সরকারের ইচ্ছার অধীনস্থ হয়ে পড়বে। এই আইনটি কার্যকর হলে, বিচারকদের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এর ফলে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়বে।
এই আইন পাস হওয়ার পর, ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই আইন গণতন্ত্রের পরিপন্থী এবং তারা এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, এর আগেও বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমানোর চেষ্টা হলে ইসরায়েলে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছিল।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু’র সরকার অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ-মিয়ারা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করছেন। তবে, সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে তাদের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। সরকার পক্ষের এমন সিদ্ধান্তের কারণে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে তাদের মধ্যে একটি বিরোধ তৈরি হয়েছে।
শুধু তাই নয়, গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত আবারও তীব্র রূপ নিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ৮৫০ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান