অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা জ্যাকব এলরডি, যিনি সম্প্রতি ‘প্রিসিলা’ ছবিতে এলভিস প্রেসলির চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন, এবার আসছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত একটি সিরিজে।
রিচার্ড ফ্লানাগানের ম্যান বুকার পুরস্কার জয়ী উপন্যাস ‘দ্য ন্যারো রোড টু দ্য ডিপ নর্থ’ অবলম্বনে নির্মিত এই সিরিজে তিনি অভিনয় করেছেন প্রধান চরিত্রে।
সিরিজটিতে যুদ্ধের ভয়াবহতার পাশাপাশি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এক গভীর প্রেম কাহিনী।
বার্লিনে এক সাক্ষাৎকারে এলরডি জানান, শুরুতে এই সিরিজের প্রেম বিষয়ক দৃশ্যগুলো নিয়ে তিনি কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন।
তার মনে হয়েছিল, যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হয়তো এতে গুরুত্ব হারাবে।
তবে পরিচালক জাস্টিন কার্জেলের চিত্রনাট্য এবং দৃশ্য ধারণের ধরন দেখে তার ধারণা বদলে যায়।
এলরডি বলেন, পরিচালক তাদের আবেগ প্রকাশের জন্য যথেষ্ট জায়গা করে দিয়েছিলেন, যা সিনেমাটিকে আরও বেশি বাস্তব করে তুলেছিল।
সিরিজটিতে এলরডি অভিনয় করেছেন ডরিগো ইভান্স নামের এক চরিত্রে, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থাইল্যান্ড-বার্মা রেলপথে কাজ করতে বাধ্য হওয়া একজন সেনা কর্মকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
যুদ্ধের বিভীষিকার মধ্যে তিনি তার প্রেমিকা অ্যামির স্মৃতিকে সঙ্গী করে টিকে ছিলেন।
অ্যামির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওডেসা ইয়ং।
এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য এলরডিকে শারীরিক পরিবর্তনে আসতে হয়েছে।
যুদ্ধের বন্দী শিবিরের দৃশ্যগুলোতে অভিনয়ের জন্য তাকে প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে কঠোর ডায়েট করে ওজন কমাতে হয়েছে।
এলরডির মতে, সহ-অভিনেতাদের এই প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য ছিল।
নির্মাতা জাস্টিন কার্জেল জানান, এলরডিকে এই চরিত্রের জন্য নির্বাচন করাটা তার জন্য সহজ ছিল।
তিনি বলেন, এলরডিকে দেখেই তার মনে হয়েছিল, এই চরিত্রের জন্য তিনিই সঠিক পছন্দ।
সৈন্যদের চরিত্রে অভিনয় করা অন্যান্য অভিনেতাদেরও এই চরিত্রের জন্য যথেষ্ট ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে, যা তাদের অভিনয়কে আরও শক্তিশালী করেছে।
সিরিজটিতে এলরডির চরিত্রের বৃদ্ধ বয়সের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আইরিশ অভিনেতা সিয়ারান হিন্দস।
এলরডি জানান, ভবিষ্যতে তিনি তার বৃদ্ধ বয়সের চরিত্রে মেরিল স্ট্রিপকে দেখতে চান।
‘দ্য ন্যারো রোড টু দ্য ডিপ নর্থ’ সিরিজটি আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রাইম ভিডিওতে দেখা যাবে।
জার্মানির দর্শক এই গ্রীষ্মে স্কাই এবং ওয়াও প্ল্যাটফর্মে এটি উপভোগ করতে পারবেন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস