হোয়াইট লোটাসে ‘ডিউক’-এর নাম! ক্ষেপে গেল কর্তৃপক্ষ!

ডিউক ইউনিভার্সিটির অনুমোদন ছাড়াই ‘হোয়াইট লোটাস’-এ তাদের নাম ব্যবহারের অভিযোগ। জনপ্রিয় মার্কিন টেলিভিশন সিরিজ ‘হোয়াইট লোটাস’-এর একটি দৃশ্যে ডিউক ইউনিভার্সিটির নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

তবে এই ঘটনায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছে স্বয়ং ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, সিরিজের নির্মাতারা তাদের অনুমতি ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেডমার্ক ব্যবহার করেছেন, যা তাদের ভাবমূর্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

সিরিজটির সাম্প্রতিক সিজনে জেসন আইজ্যাকস একজন ধনী ব্যবসায়ীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি থাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েন। সিরিজের একটি দৃশ্যে তাকে ডিউক ইউনিভার্সিটির একটি টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।

দৃশ্যটিতে তার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়, যা ডিউক কর্তৃপক্ষের উদ্বেগের কারণ হয়েছে।

ডিউক ইউনিভার্সিটির যোগাযোগ, বিপণন ও পাবলিক বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ট্রাম্বল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমরা ‘হোয়াইট লোটাস’-এ আমাদের ব্র্যান্ড ব্যবহারের অনুমোদন দিইনি।

আমরা শিল্পকলার স্বাধীনতাকে সম্মান করি, তবে আমাদের নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক ব্যবহার করে এমন দৃশ্য তৈরি করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর এবং ভুলভাবে আমাদের সমর্থন বা যুক্ততা নির্দেশ করে।”

ট্রাম্বল আরও যোগ করেন, “এই সিরিজে শুধু আমাদের ব্র্যান্ড ব্যবহারের অনুমতি নেওয়া হয়নি তাই নয়, বরং এমন কিছু দৃশ্য দেখানো হয়েছে যা আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং যা আমরা সমর্থন করি না।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আত্মহত্যার ঘটনা এখন দ্বিতীয় প্রধান উদ্বেগের কারণ।

যেহেতু এই সিরিজের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাই আমরা আমাদের ব্র্যান্ড ব্যবহার করে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে চাই এবং মানুষকে জানাতে চাই যে সাহায্য সবসময় পাওয়া যায়।”

সিরিজে দেখা যায়, টিমোথি র‍্যাটলিফ নামের ওই চরিত্রটি তার ব্যবসার হিসাব নিয়ে ফেডারেল তদন্তের শিকার হন এবং স্ত্রীর উদ্বেগ কমানোর ওষুধ চুরি করেন।

অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রী ভিক্টোরিয়া র‍্যাটলিফ চরিত্রে অভিনয় করা পার্কার পজি স্বামীর মানসিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত নন।

আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের ছেলে প্যাট্রিক শোয়ার্জনেগার র‍্যাটলিফের বড় ছেলে স্যাক্সন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনিও ডিউক ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্র।

সিরিজে তাকে একজন ‘ফিনান্স ব্রো’ হিসেবে দেখানো হয়েছে, যিনি থাইল্যান্ড রিসোর্টে যৌন অভিজ্ঞতার শিকার হন।

মাইক হোয়াইট নির্মিত এই সিরিজটি সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কাহিনী উপস্থাপনের জন্য পরিচিত।

বর্তমানে এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে এইচবিও-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *