যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সংকীর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত হিসেবে এলিস স্টেফানিকের মনোনয়ন বাতিলের কথা ভাবছে হোয়াইট হাউস। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র স্টেফানিককে গত নভেম্বরের নির্বাচনের পর এই গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনীত করা হয়েছিল।
কিন্তু প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাঁর মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের জন্য বিল পাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ রিপাবলিকানদের মধ্যে ঐক্যের অভাব রয়েছে।
বর্তমানে, প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের আসন সংখ্যা ২১৮, যেখানে ডেমোক্র্যাটদের রয়েছে ২১৩টি আসন এবং চারটি আসন শূন্য রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, রিপাবলিকানরা কোনো বিল পাস করতে চাইলে তাঁদের দলের দুইজনের বেশি সদস্যের সমর্থন হারালে তা সম্ভব হবে না।
যদি স্টেফানিকের মনোনয়ন বহাল থাকে, তাহলে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আরও কমে যাবে।
সেক্ষেত্রে, দলীয় লাইনে কোনো বিল পাস করতে হলে তাঁদের মাত্র একজন সদস্যের সমর্থন হারানোর সুযোগ থাকবে। উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার দুটি শূন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
তবে, নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন, রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুব বেশি বাড়বে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের কাছে এই মনোনয়ন এখন পর্যন্ত খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
এর আগে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে নিকি हेली এবং কেলি ক্র্যাফট—এই দুজন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে না পারলে, ট্রাম্পের কর হ্রাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নেও সমস্যা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, স্টেফানিকের মনোনয়ন বাতিল করা হলে, তা রিপাবলিকানদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি আনতে পারে।
এলিস স্টেফানিক বর্তমানে হাউজ রিপাবলিকান কনফারেন্সের চেয়ারের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন, যা তাঁর এই মনোনয়নের প্রস্তুতির অংশ ছিল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন