ফর্মুলা ওয়ান (F1) রেসিং-এর ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দল রেড বুল। সম্প্রতি, তাদের ড্রাইভার পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
মাত্র দুইটি রেসের পরেই তারা তাদের তরুণ ড্রাইভার লিয়াম লসনকে সরিয়ে দিয়েছে এবং তার বদলে জাপানি চালক ইউকি সুনোদাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই সিদ্ধান্তটি রেড বুল দলের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আসলে, লিয়াম লসনের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না। যদিও তিনি নতুন ছিলেন, কিন্তু দলের প্রত্যাশা ছিল তিনি দ্রুত দলের সঙ্গে মানিয়ে নেবেন এবং অভিজ্ঞ ম্যাক্স ভারস্টাপেনের কাছাকাছি আসতে পারবেন।
তবে, বাস্তবে তেমনটা ঘটেনি। লসনকে নিয়ে দলটির কৌশলগত কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যা তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অস্ট্রেলিয়া ও চীনের বাছাইপর্বে লসনের পারফরম্যান্স ছিল খুবই হতাশাজনক। এছাড়া, তিনি একটি রেসে দুর্ঘটনার শিকারও হন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের পেছনে শুধুমাত্র লসনের দুর্বল পারফরম্যান্সই একমাত্র কারণ নয়। বরং, এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দলের ভেতরের কিছু সমস্যা।
মূলত, রেড বুল-এর গাড়ির উন্নয়ন প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ম্যাক্স ভারস্টাপেনও দলের পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট ছিলেন। দলের প্রধান ক্রিশ্চিয়ান হোর্নারও স্বীকার করেছেন যে, তাদের গাড়ির উন্নতিতে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে।
অন্যদিকে, ইউকি সুনোদার অভিজ্ঞতা এই পরিস্থিতিতে রেড বুল-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। হোর্নার জানিয়েছেন, সুনোদার অভিজ্ঞতা বর্তমান গাড়ির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে। কারন, সুনোদার গাড়ির কারিগরি দিক সম্পর্কে ভালো ধারণা রয়েছে।
রেড বুল এর প্রধান দুর্বলতা হল তাদের গাড়ির ডিজাইন। এই গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে ম্যাক্স ভারস্টাপেনের ড্রাইভিং স্টাইলকে মাথায় রেখে।
ভারস্টাপেন সাধারণত এমন একটি গাড়ি পছন্দ করেন যা দ্রুত বাঁক নিতে পারে। এর ফলে, অন্য ড্রাইভারদের জন্য গাড়ির নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে এবং তারা নিজেদের সেরাটা দিতে পারেন না। লিয়াম লসনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে।
মোটকথা, রেড বুল-এর এই সিদ্ধান্ত তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার একটি অংশ। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো গাড়ির দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠা এবং দ্রুত উন্নতি করা। এখন দেখার বিষয়, ইউকি সুনোদা দলের হয়ে কেমন করেন এবং দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন কিনা।
তথ্য সূত্র: বিবিসি নিউজ